দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, আদিতমারী উপজেলার গন্ধমরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কালীগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, শিয়াল খোওয়া কলেজ, দুহুলী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
ফলাফলে জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। সব প্রতিষ্ঠানই উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে সংযুক্ত কলেজ। যার মধ্যে গন্ধমরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে চলতি বছর ৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল করেছে।
শিয়ালখোয়া কলেজ থেকে ৩ জন অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। সোনারহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩ জনের সকলেই ফেল করেছে। দুহুলী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একমাত্র পরীক্ষার্থীরাও ফেল করেছে। নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এক যুগেও কেউ পাস করতে পারেনি।
মোশারফ হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি তাদের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান মন্ত্রীর চামচা ছিলেন। কলেজ না গেলেও মন্ত্রীর বাড়ি নিয়মিত যেতেন। যদি কেউ পাস না করে সে প্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কি। ভর্তির সময় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করেন। পরে ক্লাশ নেওয়ার কোন খবর নেই। পাঠদান না থাকলে শিক্ষার্থীরা পাস করবে কেমনে। এমন নাম মাত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দুই উপজেলার দায়িত্বে থাকা আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। তাদের এমন ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে আগামী দিনে এমন হতাশাজনক ফলাফল দেখতে না হয়।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/আরকে