সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় গোবরদারি জর্ডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক গ্রুপে একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় গোবরদারি জর্ডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক গ্রুপে একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ বন্ধু ঘোষ। তিনি বলেন, আমার কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল একজন। মেয়েটি এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে।
শিক্ষার্থী রুবাইয়া খাতুনের বাবা কাজী মাশরিকুল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল মেয়েকে মেট্রিক পাশ করাবো। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে তখন কলেজে ভর্তি করতে পারিনি। পরে ২০২৩ সালে আবার একই কলেজে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এখন খুব ভালো লাগছে, সে এই কলেজের একজন শিক্ষার্থী হয়ে পাস করেছে। খুব ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, দিনমজুরি করে ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়েছি। এখন বিয়ে দিয়েছি, জামাই যদি পড়াশোনা করায় তাহলে সে পড়তে পারবে।
পরীক্ষার্থী রুবাইয়া রুবাইয়া খাতুন বলেন, আমি ২০২০ সালে গোবরদারি জর্ডিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। মাঝে দুই বছর পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরে ২০২৪ সালে একই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি, এজন্য আমি খুব খুশি।
তিনি বলেন, একা পড়াশোনা করাটা খুব সহজ ছিল না আমার পক্ষে। অনেকটা কঠিনই ছিল, অনেক নার্ভাস ছিলাম। তারপর পরীক্ষা দিয়েছি এখন অনেক খুশি। বাড়িতে একাই পড়াশোনা করতাম স্যারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হয়নি। এখানে আমার বাবা-মারও অনেক সাপোর্ট ছিল।
প্রতিষ্ঠানটির সম্পর্কে শিক্ষক মো. ইলিয়াস কবির বলেন, স্কুলটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ২০১৫ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়া শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। আমরা স্কুলের ১৩ জন শিক্ষক রয়েছি। কলেজে কোনো শিক্ষার্থী নেই, আশপাশে কয়েকটি কলেজ থাকাই এই কলেজে কেউ ভর্তি হয় না।
ইব্রাহিম খলিল/এএমকে