ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। সম্প্রতি তার সুরের যাদুতে মেতে উঠল লন্ডন। সঙ্গে ছিল বিশ্বখ্যাত গায়ক এড শেরানও। জুটি বেঁধে একসঙ্গে গলা মেলান শিরানের ‘পারফেক্ট’ গানটিতে। এই দুই সুরের যাদুকরের গান শুনে এসময় মুগ্ধ হন শ্রোতাদের সকলে, পুরো ভেন্যু মুখরিত হয় তাদের সুরের যাদুতে।
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। সম্প্রতি তার সুরের যাদুতে মেতে উঠল লন্ডন। সঙ্গে ছিল বিশ্বখ্যাত গায়ক এড শেরানও। জুটি বেঁধে একসঙ্গে গলা মেলান শিরানের ‘পারফেক্ট’ গানটিতে। এই দুই সুরের যাদুকরের গান শুনে এসময় মুগ্ধ হন শ্রোতাদের সকলে, পুরো ভেন্যু মুখরিত হয় তাদের সুরের যাদুতে।
এদিন অরিজিতের অনেক ভক্তরা আবেগে ফেটে পড়েন। কেউ কেউ ছিলেন অরিজিতের গান শুনে কেঁদে দেন। তা দৃষ্টিগোচরও হয় সাদামাটা এই শিল্পীরা। সেই ভক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গান গাইতে গাইতে স্টেজে বসে পড়লেন অরিজিৎ! আর সেই দৃশ্য রীতিমতো ভাইরাল।
কিন্তু কিছু ভক্তের কাণ্ড ছিল আবার অরিজিতের জন্য বিব্রতকর ও অসহনীয়। যদিও এসব বিষয়গুলো মোটেই প্রশ্রয় দেননা অরিজিৎ। যেমন এই শো-তেই এক ভক্ত খাবার খেয়ে সেই খাবারের প্যাকেট স্টেজে রাখেন। আর এতে স্বাভাবিকভাবে চটে যান অরিজিৎ। তৎক্ষণাৎ সেই খাবারের প্যাকেটটি সরিয়ে নিতে বলেন শ্রোতাকে।
এরই মধ্যে ঘটে যায় আরও এক কাণ্ড। অরিজিতের কাছে একটি বিশেষ গানের আবদার ছিল এক শ্রোতার। কিন্তু সোজা সেই শ্রোতার অনুরোধ প্রত্যাখান করেন এই শিল্পী। কারণ, গানটি নিয়ে আপত্তি আছে তার; সময় ও স্থানের সঙ্গে গানটি প্রাসঙ্গিক নয়। তাই তো সেই শ্রোতাকে খানিকটা ধমক দিয়ে হলেও বোঝান অরিজিৎ সিং। তবে কী নিয়ে ছিল সেই গানটি?
গত ৯ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়ে কলকাতা শহর। এরপর অরিজিৎ সিংহের গাওয়া ‘আর কবে’ গানটি যেন শহর কলকাতার নাগরিকদের দেয় নতুন মন্ত্র। প্রতিবাদী আন্দোলনের কণ্ঠ হয়ে ওঠে এই গান।
আন্দোলন, প্রতিবাদ এখনও চলছে কলকাতা শহরে। এর মাঝেই গানের অনুষ্ঠানের জন্য ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছেন অরিজিৎ। দ্বিতীয় দিনের শো-তে শ্রোতাদের থেকে ‘আর কবে’ গাওয়ার অনুরোধ পান শিল্পী। অনুরাগীদের উদ্দেশে তখন অরিজিৎ বলে ওঠেন, ‘কলকাতায় যান।’
গায়কের কথায়, ‘ভাই এটা এ সবের জায়গা নয়। মানুষ এখানে আমার গান শুনতে এসেছেন। এটা আমার কাজ। আমি কাজ করছি। আর ওটা (‘আর কবে’ গান) আমার শিল্প। এটা সঠিক সময় নয় এই গান গাওয়ার। তুমি যদি সত্যিই প্রতিবাদ করতে চাও, যাও কলকাতায় যাও। ওখানে অনেক বাঙালি আছেন, যাও গিয়ে কলকাতার পথে নামো।’
অরিজিতের এই কথার মাঝে ছিল ধমকের সুর। শেষে অরিজিৎ এ-ও বলেন, ‘গানটা মনিটাইজ় করা নেই, মনিটাইজেশন বন্ধ করা আছে। কপিরাইট নেই কোনও। যে কেউ ওটা ব্যবহার করতে পারেন।’
ডিএ