লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আব্দুল্লাহ আল মারুফ (১৯) নামে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে অভিযুক্তদের আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আব্দুল্লাহ আল মারুফ (১৯) নামে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে অভিযুক্তদের আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন- রুবেল হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও মিরাজ হোসেন। তারা একই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বলে জানা গেছে। তবে পদ-পদবী জানা নেই।
জানা গেছে, আটক ৩ জন ক্যাম্পাসের ভেতরে সিভিল বিভাগের (ক্লাস ক্যাপ্টেন) আবদুল্লাহ আল মারুফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়ে অভিযুক্তদের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তল্লাশি করলে মিরাজের কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। অস্ত্রটি হাতের ৫টি আঙুলে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের ক্যাম্পাসের ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি বিভাগে (৮ম পর্ব) মেধাবী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রিজভী কোটা সংস্কার আন্দোলন গিয়ে ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। মঙ্গলবার দুপুরে তার স্মরণে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আটক ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল দোয়া মাহফিল কর্মসূচি বানচাল করা। অতীতেও তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, ৩ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে