রোববার শপথ নিচ্ছেন চট্টগ্রামের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

রোববার শপথ নিচ্ছেন চট্টগ্রামের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

আগামীকাল রোববার শপথ নিতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

আগামীকাল রোববার শপথ নিতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ পড়াবেন। শপথ নিতে ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি।

সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

এতে বিএনপির শীর্ষ এই নেতার আত্মীয়সহ ১৬০ জন অতিথি আমন্ত্রিত হয়েছেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতা, মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ ২৭ জন অতিথি যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া শপথগ্রহণ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে যাবেন চসিক মেয়র। এতে চট্টগ্রাম থেকে আসা নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা ‘কারচুপি’ করেছিলেন। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

মামলার এজাহারে শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।

মামলায় ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেন। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশ দেন। আদালতের রায়ের ৮ দিন পর ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিব এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

আরএমএন/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *