বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, জ্বালানি উপদেষ্টাকে জানাবেন নুর

বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, জ্বালানি উপদেষ্টাকে জানাবেন নুর

নোয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তারুণ্যের গণসমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। 

নোয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তারুণ্যের গণসমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নুরের বক্তব্যে শুরু হলে ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় নুর নব্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের দায়ী করেন। তারপর হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। পাঁচ মিনিট পর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। তারপর মাইকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা আওয়ামী লীগের মতো দখলদারি চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখতে চায়। তারা গণঅধিকার পরিষদকে ভয় পায়। উদীয়মান নেতৃত্বকে ভয় পায়। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃসময়ে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমাদেরকে ভয় দেখাতে আসবেন না। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গণজোয়ার রোখা যাবে না। ঢাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন, পুলিশের সংস্কার প্রয়োজন। তবে সব কিছুর আগে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪ বছরে নিয়ে আসতে হবে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংখানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। রাজনীতির নামে যেন লুটপাট ও চাঁদাবাজি না হয় এবং সাধারণ মানুষ যেন রাজনীতি করতে পারে ও নেতৃত্ব দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। কালো টাকার প্রভাব ও পেশীশক্তির প্রভাব দূর করতে হবে। সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা লাগে, যা খুবই হতাশাজনক। এই রকম পরিস্থিতি আর আনতে দেওয়া যাবে না।

এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা বর্তমানে জাতীয় সমস্যা। আমাদের চাহিদা দেওয়া ৩০ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা পাচ্ছি ১৪ মেগাওয়াট। আমাদের খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ মানুষ ফোন দিয়ে বকাবকি করছে। আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। আজকে গণঅধিকার পরিষদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে ৫টায় প্রোগ্রাম শেষ হবে। তাই অল্প সময়ের জন্য ৫টা ১৫ মিনিটের সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে। তাদের ফোন পেয়ে আমরা আবার সচল করে দিয়েছি। তারা যদি আমাদের একটু আগে বলতো তাহলে এমনটা হতো না। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *