রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের যত নতুন রেকর্ড

রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের যত নতুন রেকর্ড

ইতিহাসটা নিজেদের ঠিকই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা এক টেস্ট জয় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে তাদেরই মাঠে গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ম দিনে সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে টাইগাররা পেয়েছে ১০ উইকেটের অনায়াস জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ম আর দেশের বাইরে এটি ছিল বাংলাদেশের ৭ম টেস্ট জয়। 

ইতিহাসটা নিজেদের ঠিকই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা এক টেস্ট জয় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে তাদেরই মাঠে গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ম দিনে সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে টাইগাররা পেয়েছে ১০ উইকেটের অনায়াস জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ম আর দেশের বাইরে এটি ছিল বাংলাদেশের ৭ম টেস্ট জয়। 

এমন এক জয়ের সঙ্গে বেশ অনেকগুলো নতুন রেকর্ডও দেখা গিয়েছে ১ম টেস্টের ৫ দিনে। বাংলাদেশের সাপেক্ষে তো বটেই, বেশ অনেকগুলো বড় রকমের রেকর্ডও গড়েছে টাইগার ক্রিকেটাররা।

উইকেটের বিচারে সবচেয়ে বড় জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এসেছে ১০ উইকেটের বিনিময়ে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে ৮ উইকেটে জয় এসেছিল বাংলাদেশের পক্ষে। 

তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটাও এই টেস্টেই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ সঙ্গে আরও ৪ ফিফটির সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬৫ রান। এরচেয়ে বেশি রান বাংলাদেশ পেয়েছে দুবার। ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩৮ রান বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯৫ রান। 

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ৭ম উইকেট বা তার নিচে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপটাও দেখেছে রাওয়ালপিন্ডির প্রথম টেস্ট। মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মুশফিকুর রহিম করেছেন ১৯৬ রানের জুটি। এটি আবার পাকিস্তানের মাটিতে ৭ম উইকেট বা এর নিচে ৩য় সর্বোচ্চ। সবার ওপরে আছে ওয়াসিম আকরাম এবং সাকলাঈন মুশতাকের ৩১৩ রানের জুটি। 

দেশের বাইরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ এখন মুশফিকুর রহিমের। সর্বোচ্চ ২১৭ রান সাকিব আল হাসানের। সেটা ছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। গলে মুশফিক করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। রাওয়ালপিন্ডিতে করলেন ১৯১ রান। এই ইনিংসটিই আবার পাকিস্তানের মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। 

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়েসে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড আগেই ছিল মুশফিকের নামের পাশে। ৩৫ বছর ৩৩০ দিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দিনে তার বয়স ছিল ৩৭ বছর ১০৪ দিন। 

বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যান অব দ্য ম্যাচ (৭) এবং দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৫) দুই রেকর্ডই এবার নিজের করে নিয়েছিলেন মুশফিক। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন সাকিব আল হাসানের। রাওয়ালপিন্ডিতে শেষদিনে তুলে নেন ৩ উইকেট। এই মুহূর্তে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ৭০৭। 

সাকিব পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে। ৩০৫ ওয়ানডে, ৩৬২ টেস্ট আর ৩৮ টি-টোয়েন্টি উইকেট মিলিয়ে ৭০৫ উইকেট ছিল ভেট্টোরির। রাওয়ালপিন্ডিতে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট নিয়ে কিউই স্পিনারকে পেছনে ফেললেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। ২৪১ টেস্ট, ৩১৭ ওয়ানডে আর ১৪৯টি টি-টোয়েন্টি উইকেট এখন সাকিবের নামের পাশে। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *