‌‘যারা আমার নিরপরাধ ছেলেকে লাশ বানিয়েছে, তাদের শাস্তি চাই’

‌‘যারা আমার নিরপরাধ ছেলেকে লাশ বানিয়েছে, তাদের শাস্তি চাই’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজীবের বাবা হালিম সরকার বলেছেন, আমি আমার সন্তানকে বড় চিকিৎসক বানানোর স্বপ্নে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম কিন্তু এই রাষ্ট্র আমাকে আমার ছেলের লাশ উপহার দিয়েছে। যারা আমার নিরপরাধ সন্তানকে লাশ বানিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজীবের বাবা হালিম সরকার বলেছেন, আমি আমার সন্তানকে বড় চিকিৎসক বানানোর স্বপ্নে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম কিন্তু এই রাষ্ট্র আমাকে আমার ছেলের লাশ উপহার দিয়েছে। যারা আমার নিরপরাধ সন্তানকে লাশ বানিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্রীয় মসজিদে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

হালিম সরকার বলেন, পুরো পরিবারসহ অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও দুই ভাই-বোনের পড়াশোনার খরচ সে-ই চালাতো। পুরো পরিবারকে সে আগলে রেখেছিল। আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এই হত্যার ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ সময় নিহত ডা. সজীব সরকারের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানান চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও সরকারের হয়ে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

দোয়া মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুবায়ের ও মাসুদ আহত ছাত্র-জনতাকে মানবিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া বিএসএমএমইউ ভিসির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন তারা।

চিকিৎসকরা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের ভিসি নিজ থেকে পদত্যাগ না করলে ডাক্তারদের সঙ্গে তার পদত্যাগের জন্য ছাত্র-জনতা প্রয়োজনে আবার মাঠে নামবে।

প্রসঙ্গত, গেল ১৮ জুলাই রাজধানীর আজমপুরে মাদরাসা পড়ুয়া ছোট ভাইকে আনতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক ডা. সজীব সরকার।

টিআই/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *