ট্রফি নিয়ে বিশেষ উদযাপন, পেনাল্টি কিকে প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেয়া কিংবা বিশেষ সব নাচ… অভিষেকের পর থেকে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ কতবারই তো শিরোনাম হয়েছেন! বিতর্কিত হয়েছেন তা যেমন সত্য, তেমনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এক গোলরক্ষক। কলম্বিয়ার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের পর আবারও বিতর্কেই নাম লেখালেন তিনি।
ট্রফি নিয়ে বিশেষ উদযাপন, পেনাল্টি কিকে প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেয়া কিংবা বিশেষ সব নাচ… অভিষেকের পর থেকে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ কতবারই তো শিরোনাম হয়েছেন! বিতর্কিত হয়েছেন তা যেমন সত্য, তেমনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এক গোলরক্ষক। কলম্বিয়ার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের পর আবারও বিতর্কেই নাম লেখালেন তিনি।
ম্যাচ হারার ক্ষোভেই বোধকরি নিজেকে সামলাতে পারলেন না আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ম্যাচশেষে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধাক্কা দিয়ে বসেন আর্জেন্টিনার সর্বজয়ী এই গোলরক্ষক। এই নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এমন আচরণে শাস্তিও পেতে পারেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে একেবারে ম্যাচের শেষে। ২-১ গোলে হারের পর মনমরা মার্তিনেজ তখন কলম্বিয়ার কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে সৌজন্যমূলকভাবে হাত মিলিয়ে ফিরছিলেন। তখনই তার সামনে ক্যামেরা দেখলে সেটাকে থাপ্পড় মেরে বসেন। মার্তিনেজের কারণে লাইভে থাকা ক্যামেরার মুখ চলে যায় অন্যদিকে।
মার্তিনেজের মেজাজ হারানোর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে। পুরো ম্যাচেই দুয়োধ্বনি সইতে হয়েছে তাকে। কলম্বিয়ার ভক্তরা জড়ো হয়েছিলেন প্রতিশোধ দেখার আশায়। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই দুয়ো দিয়েছেন মার্তিনেজকে। সঙ্গে ৩২৪ মিনিট পর জাতীয় দলের হয়ে গোল হজম করেছেন মার্তিনেজ।
এছাড়া এই ম্যাচেই ক্যারিয়ারে মাত্র ৪র্থবার আর্জেন্টিনার জার্সিতে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গোল হজম করেছেন। সেট পিস থেকে মাত্র তৃতীয়বার। আর ক্যারিয়ারে মাত্র ৫ম বার একই ম্যাচে দুই বা এর বেশি গোল হজম করেছেন মার্তিনেজ। মেজাজ হারানোটাই হয়ত স্বাভাবিক তার জন্য।
মার্তিনেজের থাপ্পড়-কাণ্ড অবশ্য এবারই প্রথম না। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মারাকানায় ব্রাজিল পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। সেই ম্যাচেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেছিলেন এই ফুটবলার। উত্তেজিত মার্তিনেজে তখন কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। এরপর শাস্তিও পেতে হয়েছিল। এবারের বিষয়টি কোন নজরে নেবে ফিফা, সেটাই এখন প্রশ্ন।
জেএ