মুসা আ.-কে যে ৪ বৈশিষ্ট্য দিয়েছিলেন আল্লাহ তায়ালা

মুসা আ.-কে যে ৪ বৈশিষ্ট্য দিয়েছিলেন আল্লাহ তায়ালা

বনী ইসরাঈলের নবী ছিলেন হজরত মুসা আ.। তিনি বনী ইসরাঈলকে দীর্ঘ ৪০০ বছরের স্বৈচারার ফিরাউনের কবল থেকে মুক্তি করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা যে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন নবী ও রাসূলদের কথা তুলে ধরেছেন তিনি তাদের একজন।

বনী ইসরাঈলের নবী ছিলেন হজরত মুসা আ.। তিনি বনী ইসরাঈলকে দীর্ঘ ৪০০ বছরের স্বৈচারার ফিরাউনের কবল থেকে মুক্তি করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা যে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন নবী ও রাসূলদের কথা তুলে ধরেছেন তিনি তাদের একজন।

তাঁকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু মুজিজা দান করেছিলেন একইসঙ্গে তিনি বিশেষ কিছু মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া বৈশিষ্ট্যগুলো হলো— 

কালিমুল্লাহ 

কালিমুল্লাহ বা আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কথোপথনকারী। মুসা আ.- পৃথিবীতে বসে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন করেছিলেন। এ জন্য তাঁকে কালিমুল্লাহ বলা হয়।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা যখন আমার নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলো এবং তাঁর প্রতিপালক তাঁর সঙ্গে কথা বললেন, তখন সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও। আমি তোমাকে দেখব।

তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনোই দেখতে পাবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ কোরো, তা স্বস্থানে স্থির থাকলে তবে তুমি আমাকে দেখবে। যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন, তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করল এবং মুসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল। যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন বলল, মহিমাময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমার কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম।

তিনি বললেন, হে মুসা! আমি তোমাকে আমার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। সুতরাং আমি যা দিলাম তা গ্রহণ কোরো এবং কৃতজ্ঞ হও।’ (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৪৩-১৪৪)

আসমানে অবস্থান

আল্লাহ কয়েকজন মর্যাদাবান নবী ও রাসুলকে আসমানে স্থান দিয়েছেন। মিরাজের রাতে যাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা.-এর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেসব সম্মানিত নবীদের একজন মুসা আ.।

মিরাজের রাতে ষষ্ঠ আকাশে নবীজি সা.-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। নবীজি (সা.) যখন উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফিরছিলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে গিয়ে তা কমানোর আবেদন করতে বলেন। অবশেষে তা পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত হয়।(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৮৭)

৯টি সুস্পষ্ট মুজিজা লাভ 

 মুসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়টি সুস্পষ্ট মুজিজা লাভ করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বনি ইসরাইলকে জিজ্ঞাসা করে দেখো আমি মুসাকে ৯টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম।  (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ১০১)

কোরআন সবচেয়ে বেশি আলোচিত 

নবী-রাসুলদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ও বেশিবার নাম উচ্চারিত হয়েছে মুসা আ.-এর। পবিত্র কোরআনে যেসব নবী-রাসুলের নাম সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত হয়েছে তাঁদের পাঁচজন হলেন, ১. মুসা আ.-এর নাম ১৩৬ বার, ২. ইবরাহিম আ.-এর নাম ৬৯ বার, ৩. নুহ আ.-এর নাম ৪৩ বার, ৪. লুত আ.-এর নাম ২৭ বার, ৫. ইউসুফ আ.-এর নাম ২৭ বার।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *