দখলদার ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল হামলার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে সরে গেছে লেবাননের সেনারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাতে লেবাননের সেনাবাহিনীর সেনারা সরে যেতে শুরু করেন। এরফলে এখন সীমান্ত পাহারায় শুধুমাত্র হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা থাকবে।
দখলদার ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল হামলার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে সরে গেছে লেবাননের সেনারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাতে লেবাননের সেনাবাহিনীর সেনারা সরে যেতে শুরু করেন। এরফলে এখন সীমান্ত পাহারায় শুধুমাত্র হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা থাকবে।
লেবাননের সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সম্পূর্ণ আলাদা। দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের। এতে যুক্ত হচ্ছে না লেবাননের সরকারি সেনারা।
লেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের সেনাদের সীমান্ত থেকে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তথ্যের সত্যতাও নিশ্চিত করেননি। আবার এ তথ্য অস্বীকারও করেননি।
রয়টার্সকে মার্কিন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা যেভাবে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে; তাতে ধারণা করা হচ্ছে লেবাননে তারা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে স্থল হামলা চালাবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ‘পরবর্তী ধাপের’ অনুমোদন দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরমাধ্যমে মূলত লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম গতকাল সোমবার জানান, ইসরায়েলের স্থল হামলা এবং দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। যদিও গত ১০ দিনে সিরিজ হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহকে অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে ইসরায়েল। এই মুহূর্তে ইসরায়েল স্থল হামলা চালালে হিজবুল্লাহ কতটা সফল পাবে সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই