মির্জা ফখরুলের পিএস পরিচয়ে সাবেক দুই এমপির কাছে চাঁদা দাবি

মির্জা ফখরুলের পিএস পরিচয়ে সাবেক দুই এমপির কাছে চাঁদা দাবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি করায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি করায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার হারুন হাওলাদারের ছেলে মো. শাহীন (৪০), বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম (৩৫)। তারা দুজনে বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের পলাশপুর বস্তির ৮ নং রোডের ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এসআই সোহেল মোল্লা জানান, গত রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় আসামিদের লোকেশন ট্রাক করে বাবুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রিমান্ড শুনানি পরবর্তীতে হবে।

জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সচিব পরিচয়ে বরিশাল-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু  এবং বরিশাল-৬ আসনের (বাকেরগঞ্জ) সাবেক এমপি রত্না আমিনের মুঠোফোনে একটি নম্বর থেকে কয়েকদিন ধরেই বিশাল অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল। এ ঘটনা জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত উঠে আসে চাঁদা দাবি করা মোবাইল নম্বরের লোকেশন বাবুগঞ্জের পাইলট বালিকা বিদ্যালয় এলাকায়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী ওবায়দুল কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে চাঁদা দাবি করা দুজনকে আটক করে। যে সিমকার্ড ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল তা আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন কাজী ওবায়দুল কবীর।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা পলাশপুরে বসবাস করতেন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা চালাতেন। দুজনেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *