মাকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে মেয়েকে অপহরণ

মাকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে মেয়েকে অপহরণ

মাকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে শিশু সন্তানকে অপহরণের ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

মাকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে শিশু সন্তানকে অপহরণের ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে র‌্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণের মূলহোতা মাহবুর আলম পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তিনি অপহরণের কথা স্বীকার করলে র‌্যাব কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার কান্দিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী শাকিল আহমেদ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং সেখান থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

আসামি মাহবুর আলম পারভেজ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জর কদমতলী কলেজপাড়া এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। অপর আসামি শাকিল আহমেদ রুবেল (৪৩) কুমিল্লার মুরাদপুর এলাকার সাঈদ আহমেদের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, অপহৃত শিশুর মা মাহমুদা সুলতানা ইলুর দূরসর্ম্পকের আত্মীয় মাহবুর আলম পারভেজ। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে তাদের একে অপরের বাসায় যাতায়াত ছিল। দুই সন্তানের জননী ইলুর সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্কের অবনতি হলে ইলু তার বাবা বাসায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এরই সুযোগে পারভেজের সঙ্গে ইলুর ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠে। 

একপর্যায়ে পারভেজ ইলুকে বিবাহের প্রস্তাব দেন, তবে ইলু তা প্রত্যাখান করেন। এরই জের ধরে মাহবুর আলম পারভেজ গত ৬ অক্টোবর ভোরে অপহৃত শিশুটিকে ফোন করে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে দিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে বাইরে নিয়ে যান। পরবর্তীতে পারভেজ তার সহযোগী শাকিল আহমেদ রুবেলকে দিয়ে শিশুটিকে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা খালেকুজ্জামান খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে র‌্যাব কুমিল্লা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মেহেদী হাসান সৈকত/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *