বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ এখনো চলমান। তবে ইতোমধ্যে ফুটবল মাঠ ও গ্যালারীর একাংশ প্রস্তুত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১৮ অক্টোবর কণ্ঠ শিল্পী ও অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজক নূর ক্রিয়েশনকে বরাদ্দ প্রদান করেছে। এই প্রীতি ম্যাচের টিকিট বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদান করবে নূর ক্রিয়েশন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ এখনো চলমান। তবে ইতোমধ্যে ফুটবল মাঠ ও গ্যালারীর একাংশ প্রস্তুত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১৮ অক্টোবর কণ্ঠ শিল্পী ও অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজক নূর ক্রিয়েশনকে বরাদ্দ প্রদান করেছে। এই প্রীতি ম্যাচের টিকিট বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদান করবে নূর ক্রিয়েশন।
নূর ক্রিয়েশনের অধিপতি মুরাদ নূর ম্যাচ ও আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে বলেন, ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতিপত্র পেয়েছি। অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি কয়েকজন সাবেক ক্রীড়াবিদকেও রাখার পরিকল্পনা করছি। এই প্রীতি ম্যাচের টিকিট থেকে প্রাপ্ত অর্থ প্রধান উপদেষ্টার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিব।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক-বিনোদন অঙ্গনের প্রীতি ম্যাচ নতুন নয়। জাতীয় দুর্যোগ বন্যা ও নানা ক্ষেত্রে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে তহবিল গঠন হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মূলত ফুটবল ফেডারেশন ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ব্যবহার করে। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নতুন ট্র্যাকে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করলেও ফুটবল ফেডারেশন এই মাঠ এখনো বুঝে নিতে পারেনি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কাজ সমাপ্ত করতে চায়। এরপরই বাফুফে বুঝে পেয়ে এই স্টেডিয়ামে পুনরায় ফুটবল ফেরাতে পারবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রকল্পের পরিচালক শামসুল আলম । তিনি বলেন, ‘গ্যালারীর শেডে একাংশের কাজ চলছে। গ্যালারিতে বিদেশি চেয়ার ইতোমধ্যে স্থাপিত। দেশী চেয়ার স্থাপনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন।’ স্টেডিয়ামের মাঠ, গ্যালারী, শেডের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হলেও ফ্লাডলাইটের ক্ষেত্রে একটু দেরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ‘ফ্লাডলাইটের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছুটা সময় চেয়েছে টেস্টিং এবং ইন্সপেকশনের জন্য। অন্য সকল কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হলেও ফ্লাডলাইট পরিপূর্ণতা পেতে ফেব্রুয়ারি হতে পারে।’-বলেন শামসুল।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের কাজ পেয়েছে বিসিবি ও মোহামেডানের পরিচালক মাহবুব আনামের প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারিতে সেই কাজ আরো বিলম্ব করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ সম্পন্ন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে কিছু দিন স্থগিত থাকলেও কাজ এখন চলমান রয়েছে, ‘উপদেষ্টা মহোদয় নির্ধারিত ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষের জোর তাগিদ দিয়েছে। প্রতিদিনই কাজ চলছে। আগামীকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনের রাস্তা সংস্কার শুরু হবে’- বলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রকল্পের পরিচালক।
এজেড/এইচজেএস