মহিলা অধিদপ্তরের ‘ট্রেড প্রশিক্ষক’ পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তর দাবি

মহিলা অধিদপ্তরের ‘ট্রেড প্রশিক্ষক’ পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তর দাবি

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’ প্রকল্প ও এই প্রকল্পের ‘ট্রেড প্রশিক্ষক’ পদের কর্মীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’ প্রকল্প ও এই প্রকল্পের ‘ট্রেড প্রশিক্ষক’ পদের কর্মীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।

বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর হেয়ার রোডের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে কর্মীরা বলেন, জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি নারীর ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, অধিকার সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ডব্লিউটিএস প্রকল্প হিসেবে অনুমোদন ও পরিচালিত হয়। পরে ওই জনবল দিয়েই এখন পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার সেরাটা দিয়ে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬ হাজার ৮০০ জন নারীকে বিভিন্ন বিষয়ে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশ নারী বিভিন্ন কর্মস্থালে এবং স্ব-স্ব কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। তাদের ৯০ শতাংশ নারীই বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় এবং দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। বর্তমানে এরাই পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী একমাত্র ব্যক্তি।

তারা বলেন, ২০১১ সাল থেকেই কর্মসূচির প্রশিক্ষকদের বেতন ভাতা ন্যূনতম ৪ মাস অন্তর প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সেটা সীমা ছাড়িয়ে ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে দীর্ঘ ৯ মাস পরে বেতন ভাতা প্রদান করে। চার থেকে নয় মাস অন্তর অন্তর বেতন পেলে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা কতটা কষ্টকর তা নিশ্চয়ই আপনি অনুধাবন করতে পারবেন। এই চাকরিতে যারা বর্তমানে রয়েছেন তাদের ৯৮ শতাংশ কর্মীরই অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে যাওয়ার বয়স নেই। আমরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা মাসিক হারে বেতন পেয়ে আসছি। কিন্তু অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ আমাদের সঙ্গে একই সময়ে একই পদে চাকরি করে বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরে ১১তম গ্রেডে বেতন ভাতা পায় অনেক। সেখানে আমরা সেই থেকে একই গ্রেডে বেতন পাচ্ছি এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করে আমাদের বেতন ভাতা ১১তম গ্রেড করার জোর দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আমরা মোট ৩২০ জন প্রশিক্ষক আছি। একইসঙ্গে প্রকল্পটি জনবলসহ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় শতাধিক ট্রেড প্রশিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *