‘ভারতকে বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না’

‘ভারতকে বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন সেজন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। কিন্তু আপনারা এ দেশে প্রভু হওয়ার কোনো চেষ্টা করবেন না। জনগণের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন সেজন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। কিন্তু আপনারা এ দেশে প্রভু হওয়ার কোনো চেষ্টা করবেন না। জনগণের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচার ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। আর এখন মুক্তিযোদ্ধা এসে দাঁড়িয়েছে আড়াই লাখ। এত মুক্তিযোদ্ধা এলো কীভাবে? এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রীও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছে। আমরা এখন আর কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গত ১৫-১৭ বছরে ছাত্রলীগের মতো বক্তব্য দিয়েছে। অবশেষে জনতার ডাকে সাড়া দিয়ে তারা মানুষের জন্য কাজ করেছে। সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সরানোর জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। সেজন্য সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানাই। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নামে যে ক্যান্টনমেন্ট করা হয়েছে, অবিলম্বে সেটি বন্ধ করতে হবে। এ দেশকে আওয়ামী সরকার প্রতিবেশী দেশের গোলাম বানিয়ে ফেলেছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এ ১৬ বছরে পুলিশ বাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে, এটা পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য মারা গেছে এটার জন্য শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ দায়ী।

বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভেঙে ফেলার বিষয়ে হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, আজ একজন বড় মাপের নেতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে, এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সমর্থন করি। আমরা এই বিপ্লবের একটি সঠিক পরিণতি চাই। আওয়ামী লীগের মতো কোনো কলঙ্ক যাতে তাদের স্পর্শ করতে না পারে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে কাজ করব। আমরা আওয়ামী লীগের মতো হতে চাই না।

ওএফএ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *