জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শিবুলাল খাসকেলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম এই সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শিবুলাল খাসকেলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম এই সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাক্ষর করেন।
কুষ্টিয়ায় শেখ কামাল স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন ও বরিশালে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং বিদ্যমান জেলা সুইমিংপুলের একটি প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্পের পরিচালক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রাক্তন পরিচালক হাবিবুর রহমান হাকিম ‘ই জিপিতে টেন্ডার আহ্বানে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে প্রকৃত তথ্য টেম্পারিং করে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রদান করায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ’ এই অভিযোগটি ২৭ জুন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় খতিয়ে দেখার জন্য। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল হোসেনের কমিটি প্রতিবেদন রিপোর্ট পেশ করে। সেই প্রতিবেদনের মতামতের প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মন্ত্রণালয়ের আদেশ বাস্তবায়ন করেছে শিবুলালকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেছে, শিবুলাল খাসকেল জাতীয় ক্রীড়া বর্ণিত প্রকল্প পরিচালক এর নিকট অনুমোদিত ব্যয় প্রাক্কলনের সঠিক তথ্যটি সরবারহ করেননি। যা তদন্ত কমিটির কাছে দায়িত্ব পালনে অবহেলার সামিল, কর্তব্য অবহেলা তথা অসদচারণ এবং প্রতারণার দায়ে দোষী মর্মে গণ্য।
দেশের ক্রীড়া স্থাপনা তৈরি হয় সরকারি অর্থে। জনগণের করের অর্থে স্থাপিত স্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কর্মকান্ডে ভুল তথ্য প্রদান করের অপচয়ের শামিল। সামগ্রিক বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির মতামতের আলোকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ শিবুলালকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এই সময়ে অবশ্য তিনি প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধাদি পাবেন।
দেশের ফেডারেশন-ক্রীড়া সংস্থাগুলোর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকান্ড অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে অবকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশলী বিভাগ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক অভিযোগই রয়েছে।
এজেড/এইচজেএস