বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বলছেন, সবাই খুলে দিলে আমরাও খুলে দেব।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বলছেন, সবাই খুলে দিলে আমরাও খুলে দেব।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আবাসিক হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
বেরোবি শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটামে উল্লেখ করেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি হল খুলে দিতে হবে। বেরোবির উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্ট মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেইসঙ্গে মেস মালিকদের নিকট আবেদন থাকবে শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব আবাসন পুনরায় উন্মুক্ত করতে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি হল খুলে না দেন, সে হিসাবটাও তোলা রইলো। মনে রাখবেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা অবস্থানে আছে যে, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হট স্পট এই ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবেন, এই আশা করছি।
আবাসিক হল খোলার বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট মো শাহিনুর ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানলাম। এখন হল প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট তামান্না সিদ্দিকা হল খোলার বিষয়ে বলেন, আমি একটু আগে বিষয়টা শুনলাম। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।
হল খোলার বিষয়ে প্রক্টর মো শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টা ফেইসবুকে দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত দেয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।
বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ বলেন, এই অবস্থা সারা দেশেই। সবাই আবাসিক হল খুলে দিলে আমরাও খুলে দেব।
এর আগে, শনিবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
তিনি বলেন, সব ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। রোববারের মধ্যে হল খোলা না হলে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে হল খুলে ভেতরে প্রবেশ করবে।
শিপন তালুকদার/এমএ