বিশ্বকাপের সমালোচিত পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল আইসিসি

বিশ্বকাপের সমালোচিত পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল আইসিসি

চলতি বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল যুক্তরাষ্ট্রে, যদিও তাদের সহ-আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্টটির বেশ কয়েকটি ভেন্যুর পিচ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। যা নিয়ে অবশেষে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল আইসিসি। বেশ কয়েকটি পিচের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, কেবল নিউইয়র্ক ও ক্যারিবীয় দ্বীপ তারুবার পিচকে ‘অন্তোষজক’ রায় দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল যুক্তরাষ্ট্রে, যদিও তাদের সহ-আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্টটির বেশ কয়েকটি ভেন্যুর পিচ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। যা নিয়ে অবশেষে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল আইসিসি। বেশ কয়েকটি পিচের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, কেবল নিউইয়র্ক ও ক্যারিবীয় দ্বীপ তারুবার পিচকে ‘অন্তোষজক’ রায় দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বকাপ শেষ হতেই অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা আইসিসির মেগা ভেন্যু নিউইয়র্ক নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। যা ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য বিভীষিকার মতো। অনিয়ন্ত্রিত বাউন্স ও বলের অস্বাভাবিক ওঠা-নামায় নাজেহাল ছিলেন বাঘা বাঘা ব্যাটাররাও। ফলে এখানকার প্রায় সব ম্যাচই লো স্কোরিং ছিল। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দুই মাস পর সেই পিচকে আজ (মঙ্গলবার) অন্তোষজক বলে জানায় আইসিসি।

একই রায় পাওয়া আরেকটি হচ্ছে– তারুবার ব্রায়ান লারা একাডেমির পিচ। যেখানে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আফগানিস্তানকে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়ারা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। হতাশাজনক বিদায়ের পর ম্যাচ শেষে  আফগান কোচ জনাথন ট্রট কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘এটি সেমিফাইনাল খেলার মতো উপযুক্ত পিচ নয়।’

তবে পুরো বিশ্বকাপ চলকালে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছিল নিউইয়র্কের পিচ। যেখানে গ্রুপপর্বের কয়েকটি ম্যাচ হয়। তার মধ্যে প্রথম দুটির পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ বলেছে আইসিসি। ওই দুই ম্যাচে কোনো দলই ১০০ রান পার করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কাকে ৭৭ রানে গুঁড়িয়ে ৬ উইকেটে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আয়ারল্যান্ডকে ৯৬ রানে গুটিয়ে ভারত পায় ৮ উইকেটের জয়। পরে সমালোচনার মুখে নাসাউ স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে কিছু কাজ করে আইসিসি। এতে সেখানে হওয়া পরের ম্যাচগুলোর পিচকে ‘সন্তোষজনক’ বলেছে তারা, যার মধ্যে ছিল ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। যদিও খুব একটা উন্নতি দেখা যায়নি ওই পিচের। 

ওই পিচে অসম বাউন্সের কারণে বেশ কয়েকজন ব্যাটার আঘাত পেয়েছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার নিউইয়র্কের পিচকে ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন পিচের আচরণ দেখে ‘হতবাক’ হয়েছিলেন। একইভাবে ব্যাপক সমালোচনা হয় নাসাউ স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড নিয়েও।

বিশ্বকাপের সব ম্যাচের রেটিং দিয়েছে আইসিসি। তারা খুব ভালো, ভালো, সন্তোষজনক, অসন্তোষজনক এবং আনফিট ক্যাটাগরিতে এই রেটিং দিয়ে থাকে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয় বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে। রোমাঞ্চ ও উত্তেজনায় ঠাসা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১৭৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারায় ভারত। ওই পিচকে ‘খুব ভালো’ রায় দিয়েছে আইসিসি। এ ছাড়া গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া ভারত ও ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের উইকেটকে বলেছে ‘সন্তোষজনক’। এ ছাড়া গায়ানা এবং নিউইয়র্কের আউটফিল্ডকে ‘সন্তোষজনক’ এবং বাকিগুলোকে ‘খুব ভালো’ বলে রেটিং দিয়েছে আইসিসি।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *