দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার অভিযোগ এনে গত ১১ আগস্ট সিলেটের চৌহাট্টা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে অনেকেই গণমাধ্যমে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার অভিযোগ এনে গত ১১ আগস্ট সিলেটের চৌহাট্টা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে অনেকেই গণমাধ্যমে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন।
সমাবেশে থাকা সৃজন সরকার ধ্রুব নামে এক কিশোর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়েছে ভাই। যে অত্যাচার চলছে আমার বাড়ির ঘর-দোয়ার পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
ধ্রুব সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটের বাসিন্দা। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বাডিতে খোঁজ নেওয়া হলে বাড়িঘরে হামলার বিষয়টি মিথ্যা বলে জানা যায়।
তার ওই বক্তব্যের জেরে আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে তার বাবা বিজন কুমার সরকার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। এতে তিনি লিখেন ‘আমি বিজন কুমার সরকার, আমার ছেলে ধ্রুব সরকার, গতকাল সময় টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছে যা সঠিক নয় এবং আমার বাড়ি সুরক্ষিত আছে, হয়তো সে আবেগবশত না বুঝে মিথ্যা সাক্ষাৎকার প্রদান করে ফেলেছে। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
ছেলের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে সিলেটে লেখাপড়া করে আর আমি স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করি। আমি যখন জানতে পারি আমার ছেলে টিভিতে একটা বক্তব্য দিয়েছে এবং যা মূলত অসত্য। তখন আমি সবাই যাতে ভুল না বুঝে তার জন্য ফেসবুকে জানান দেই। কেউ যাতে ভুল না বুঝে। আমি সুরক্ষিত আছি।
বক্তব্যের ব্যাপারে ধ্রুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমি কথাগুলো বলেছিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে কথাগুলো বলিনি। আমার ঘর ভালোই আছে। আমার বক্তব্যে কেউ আমকে ভুল বুঝবেন না। আমি চাই সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখবেন।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুনামগঞ্জের অধিকাংশ মন্দির পাহাড়ায় আছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
আরএআর