বাংলাদেশ টেস্টে এক স্পিনার কেন– ব্যাখ্যা দিলেন সালমান আঘা

বাংলাদেশ টেস্টে এক স্পিনার কেন– ব্যাখ্যা দিলেন সালমান আঘা

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে ২১ আগস্ট। মাঝে বাকি আর ১ দিন। এরপরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে প্রথমবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হবে দুই দলের মধ্যেকার সিরিজটি। তবে মাঠের খেলা শুরুর আগে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে স্পিন বিভাগ। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে ২১ আগস্ট। মাঝে বাকি আর ১ দিন। এরপরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে প্রথমবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হবে দুই দলের মধ্যেকার সিরিজটি। তবে মাঠের খেলা শুরুর আগে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে স্পিন বিভাগ। 

বাংলাদেশের কোচ পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার মুশতাক আহমেদ। তিনি আশাবাদী টাইগারদের স্পিন অ্যাটাক নিয়ে। অন্যদিকে পাকিস্তান দল প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকেই সরিয়ে নিয়েছে দুই স্পিনারকে। একমাত্র স্পিনার হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার সালমান আলী আঘা। তবে তিনিও পুরোদমে স্পিনার নন। পার্ট টাইমার বলা চলে। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ পুরোটাই পেসনির্ভর। স্বাগতিকদের স্কোয়াড থেকে আঁচ করা যাচ্ছে বাংলাদেশকে আটকানোর জন্য পেস সহায়ক উইকেটই তৈরি করা হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডিতে। তবে দলের প্রয়োজনে হয়ত বল হাতেও দেখা যেতে পারে সালমান আঘাকে। তিনি সেই দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত। 

সমালোচনা বাদ রেখে সালমান আঘা বিশ্বাস করেন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে স্পিনার সরিয়ে রেখে যৌক্তিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। কোনো স্পিনার না থাকার ব্যাখ্যায় এই অনলরাউন্ডারের বক্তব্য, ‘আসলে সবুজ উইকেটে লাল বলে পেসাররা সুবিধা পেয়েই থাকে। আমাদের জন্য আসলে এটা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন খেলে থাকি তখন সেখানে সবুজ উইকেটে লাল বলে পেসাররা সুবিধা পেয়ে থাকে।’ 

অবশ্য দলের প্রয়োজনে সালমান আঘা এর আগেও হয়েছেন বোলার। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ অ্যাওয়ে সিরিজে বোলার সালমান দলের জন্য ছিলেন কার্যকরী অপশন, ‘যখন আমি ব্যাটিং করব তখন আমি ব্যাটার, যখন আমি বোলিং করব তখন আমি বোলার। অস্ট্রেলিয়াতে স্পিনার হিসেবে আমাকে খেলানো হয়েছে আমি ভালো করেছি সেখানে।’

পাকিস্তানের জাতীয় দলে বিভক্তির গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। কদিন আগে নাসিম শাহ প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে খেলতে হবে। এই বক্তব্যের পর দলে বিভক্তি আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল। সালমান আঘা অবশ্য সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘দলের পরিবেশ বেশ ভালো। সব খেলোয়াড়ই ভাই আর বন্ধুর মতো একে অন্যকে সাহায্য করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী চলছে তা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’

আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে মাঠে গড়াচ্ছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টও করাচি থেকে সরিয়ে একই মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *