বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত, ভারতীয়দের নিরাপত্তা এবং হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এডিজি। এটিকে সহায়তা করবে দেশটির সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত, ভারতীয়দের নিরাপত্তা এবং হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এডিজি। এটিকে সহায়তা করবে দেশটির সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “এই কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তাদের কাজ হবে বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা করা।
বিএসএফর এডিজি ছাড়াও আরও চারজনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ নিয়ে ‘অতিরঞ্জিত’ সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর এমন অতিরঞ্জিত সংবাদের মধ্যেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে গণবিপ্লবের পর তড়িঘড়ি করে গত সোমবার ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক অবস্থায় হাসিনার পরিকল্পনা ছিল— প্রথমে ভারতে যাবেন। দেশটিতে অল্প সময় অবস্থান করে উড়াল দেবেন যুক্তরাজ্যে। কারণ তার বোন শেখ রেহানা এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তবে সেটি হয়নি।
সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। পালানোর আগে ভারতকে তিনি জানান স্বল্প সময় অবস্থান শেষে অন্য কোনো দেশে চলে যাবেন।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ডক্টর ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, মিন্ট
এমটিআই