দেশের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাটের তিন যুবদল নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল।
দেশের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাটের তিন যুবদল নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তিটি জেলা যুবদল সাংবাদিকদের জানায়, তবে বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তারিখ ৮ আগস্ট দেখানো হয়েছে।
বহিষ্কার পত্রে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আদিতমারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাইদুল ইসলাম আব্বাস, সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. শাহআলম মন্ডল ও পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সাইদুল ইসলামকে যুবদলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশব্যাপী ভাঙচুর ও সহিংসতা ছড়িয়ে পরলে লালমনিরহাটেও বিভিন্ন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়ে ও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে চাঁদা চাওয়া হয়। এসব সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সহিংসতা ও অরাজকতা প্রতিরোধে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর প্রতিদিন শান্তি সমাবেশ করছেন। পাশাপাশি তিনি নিজে পায়ে হেঁটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন মন্দিরে যেন কোনো রকম হামলার শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখছেন। এ সময় তিনি সাধারণ জনগণকে বিএনপির কেউ যদি বিশৃঙ্খলা ও হুমকি দেয় সরাসরি তাকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়াও দলীয় কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে নির্দেশনা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা শৃঙ্খলা ধরে রাখতে চাই। এরপরেও দলের কোনো নেতাকর্মী এরকম কোনো ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাদের তালিকা সংগ্রহ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অরাজকতা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সজাগ রয়েছি।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএমকে