বরিশালের উজিরপুরের সাতলা বাজারে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। মৎস্য খামার নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
বরিশালের উজিরপুরের সাতলা বাজারে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। মৎস্য খামার নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন—ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার (২২)।
ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা খানম জানান, আমাদের একটি মাছের খামার (ঘের) নিয়ে আরেকটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। আমার স্বামীকে ওই পক্ষটি বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। এ নিয়ে আমার স্বামীর দায়ের করা মামলায় প্রতিপক্ষরা জেলেও যান। অনেক চেষ্টা করার পরও আমাদের ঘের দখলে নিতে না পেরে আমার স্বামীকে ও দেবরকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার, তার ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার এবং এদের চাচাতো ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারের সঙ্গে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ইদ্রিস হাওলাদারের। চার মাস আগে তাদের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাছের ঘের লুটপাটের মামলা করেন ইদ্রিস হাওলাদার। তাতে কারাগারেও যান শাহীন, আসাদ ও ইলিয়াস হাওলাদার। কিছুদিন পূর্বে কারাগার থেকে বেড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন তারা।
সর্বশেষ শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে সাতলা ব্রিজের পশ্চিম পাড় অতিক্রমকালে সন্ত্রাসীরা তাদের পথ আটকে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ঘের মালিক ইদ্রিস হাওলাদার। আহত অবস্থায় সাগর হাওলাদারকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার উন্নতি না হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর অহম্মেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের টিম অভিযান শুরু করেছে। নিহতদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে। নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে