দেশের কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু খাতসহ অন্যান্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএসএ) বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
দেশের কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু খাতসহ অন্যান্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএসএ) বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ইউএসএর অনেক বড় বিনিয়োগ রয়েছে। আপনারা দেখবেন বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় অঞ্চলের বিনিয়োগ রয়েছে। তারা কিন্তু কৃষি খাতসহ বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা করছে। মূল কথা হচ্ছে কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু খাতসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, বিশেষ করে বন্যা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেছি। সবচেয়ে বেশি বেসরকারি খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, বিশেষ করে বিজিএমইএ ও জিএসপি নিয়ে তাদের কিছু শর্ত আছে সেটা আপনারা জানেন, সেগুলো পালনে তাগিদ দিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের রপ্তানি, বিনিয়োগ বা সরাসরি বিনিয়োগ এবং যৌথ বিনিয়োগ যদি করতে চায় তাহলে তারা করবে। বিশেষ করে বেসিসসহ যেসব টেকনিক্যাল খাত রয়েছে সেখানে কি করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা বলেছে এতদিন নেগোশিয়েশন একটু স্লো ছিল। আমরা তাদের বলেছি আমরা বিরাট একটা ঋণে আছি। তবে ইউএসএর সঙ্গে আমাদের ঋণ নেই। তারা যেসব সাহায্য করেছে সবগুলো কিন্তু ঋণ নয়, সবই গ্র্যান্ড। সেদিক থেকে তাদের ঋণে আমরা ভারাক্রান্ত না। সেজন্য তাদের বলেছি সাহায্য করতে। তারা দ্রুতই কৃষি খাতে সাহায্য করবে। আর কিছু কিছু বিষয়ে তাদের হাই লেভেলের ভিজিটর আসবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে কে আসবে সেটা এখনই বলা যাবে না। এলে জানতে পারবেন।
ইউএসএর কোম্পানিগুলোর কিছু অভিযোগ ছিল যে তারা তাদের টাকা নিতে পারছে না এবং আমাদের অনেক কোম্পানির নিষেধাজ্ঞা ছিল– এসব বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়েছে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ আমরা এত গভীরে আলোচনা করিনি, তবে তারা বলেছে আমাদের যেসব বিষয় পেন্ডিং আছে সেগুলোর কিছু কিছু ইস্যু নিয়ে তাদের আপত্তি আছে যেমন, শ্রম আইন। এ বিষয়ে বলেছি এটা আমরা দ্রুতই দেখব। এ ছাড়া অন্যান্য পেন্ডিং ইস্যুগুলো দ্রুত সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। সামনে বিশ্ব ব্যাংকের মিটিং রয়েছে সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা করব।
জিএসপি নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জিএসপির সব শর্ত আমরা পালন করতে পারছি না। শর্ত প্রতিপালন না হলে তাদের হাই লেভেলের কংগ্রেস এগুলোই করবে না। আমি এখন বক্তব্য দিয়ে দিলাম, দেখা গেল হলো না। তবে এসব কিছু এত কঠিন না আমাদের জন্য।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জিএসপি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেরকম কিছু বিষয় কি না– এমন প্রশ্নের জাবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউএসএর যে শর্ত সেটা রাজনীতির না। তাদের অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট আছে তারা যদি অনুমোদন না দেয় তাহলে কংগ্রেসম্যান কিছু করতে পারে না।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসেছিলেন কেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এসেছেন, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শ্বেতপত্র বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শ্বেতপত্র নিয়ে তারা যা করার করবে। সেখানে আমি কি করব।
এমএম/এসএসএইচ