ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে দেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। প্রবল এই বন্যার ফলে নোয়াখালী-ফেনীর জনজীবন বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্থ জেলার মধ্যে ছিল কুমিল্লা, লক্ষীপুর। তবে এদের মধ্যে ফেনী ও নোয়াখালী সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন পার করছে।
ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে দেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। প্রবল এই বন্যার ফলে নোয়াখালী-ফেনীর জনজীবন বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্থ জেলার মধ্যে ছিল কুমিল্লা, লক্ষীপুর। তবে এদের মধ্যে ফেনী ও নোয়াখালী সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন পার করছে।
তবে গত দুয়েকদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। এরই সুবাদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বন্যা কবলিত জেলায় ক্রীড়া স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি ও সর্বশেষ অবস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে জানতে চেয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মন্ত্রণালয়কে সম্ভাব্য ক্ষতি নিরুপণ করে একটি রিপোর্ট দিয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ছিল ফেনীতে। ফেনীর ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়াম ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে আর কোনো স্থাপনা নেই। বন্যায় স্টেডিয়ামে পানি প্রবেশ করায় মাঠে ক্ষতি হয়েছে। সেই হিসেবে সম্ভাব্য ক্ষতি নিরুপণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৪০ লাখ টাকা।
ফেনীর পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী ও লক্ষীপুর। সেখানেও বন্যার কারণে স্টেডিয়ামে পানি প্রবেশ করেছে। ফেনীর মতো এই দুই জেলা স্টেডিয়ামেও ৪০ লাখ করে সম্ভাব্য ক্ষতি ধরা হয়েছে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ ধরেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। মাটি ভরাট, ঘাস ও ক্রিকেট পিচ এই তিন খাতকে প্রাথমিক সম্ভাব্য ক্ষতি হিসেবে ধরে জাতীয় ক্রীড়া হিসাব করেছে। চাঁদপুর, কুমিল্লা ও আরো কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত হলেও সেই সকল জেলায় ক্রীড়া স্থাপনায় এখনো ক্ষতির মধ্যে পড়েনি।
এজেড/জেএ