গাজী টায়ার কারখানার আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷ তবে সেখানের ক্ষতিগ্রস্ত ছয়তলা ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলেও শঙ্কা করছেন তারা৷
গাজী টায়ার কারখানার আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷ তবে সেখানের ক্ষতিগ্রস্ত ছয়তলা ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলেও শঙ্কা করছেন তারা৷
সরেজমিনে দেখা যায়, থেকে থেকে ভবনটির দেয়াল ও প্লাস্টার ধসে পড়ছে। অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটি। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কোনোভাবেই প্রবেশ করতে পারছেন না। ভেতরে এখনও প্রচুর তাপ আছে। ভবনটিতে আগুন দেখা না গেলেও এখনও প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পুরোপুরি আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ভবনটি নাজুক অবস্থায় থাকায় এখন পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ চেষ্টার পর আপাতত ফ্লেম ডাউন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনও ভবনের ভেতরে তাপ আছে৷ অল্প অল্প করে আগুন জ্বলছে৷ ভবনটা বেঁকে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে৷ কয়েকটা জায়গায় সুড়কির মতো হয়ে গেছে৷ ভেতরে ঢুকে কাজ করা যাচ্ছে না৷ কেবল নিচতলার সিঁড়ি পর্যন্ত ঢোকা গেছে।
টার্ন টেবিল ল্যাডারের (টিটিএল) সাহায্যে ভবনটির ছাদে তল্লাশি চালানো হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ছাদের কোনো অংশে হতাহত কাউকে পাওয়া যায়নি৷ ভবনের ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি৷ আগুনটা যেহেতু নেভাতে পেরেছি, সবকিছু বিবেচনা করে ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু করবো৷
এর আগে সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম৷
এফআরএস