বড় হারে কষ্ট পাচ্ছেন আনচেলত্তি, ছুটিতে যাচ্ছে বার্সেলোনা

বড় হারে কষ্ট পাচ্ছেন আনচেলত্তি, ছুটিতে যাচ্ছে বার্সেলোনা

মৌসুমের প্রথম এল-ক্লাসিকোতে বড় ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। কার্লো আনচেলত্তির দল তিক্ত সেই ফল পেয়েছে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এমন হারের জন্য নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতাকে দায় দিয়েছেন রিয়াল কোচ। অন্যদিকে, দারুণ এক জয় এনে দেওয়া শিষ্যদের ছুটি দিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

মৌসুমের প্রথম এল-ক্লাসিকোতে বড় ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। কার্লো আনচেলত্তির দল তিক্ত সেই ফল পেয়েছে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এমন হারের জন্য নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতাকে দায় দিয়েছেন রিয়াল কোচ। অন্যদিকে, দারুণ এক জয় এনে দেওয়া শিষ্যদের ছুটি দিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্সে বারবার আটকেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যে ফাঁদে পড়ে তার পুরো ম্যাচে ১২ বার অফসাইডের শিকার। পাশাপাশি কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা সহজ সুযোগ ছেড়েছেন। এমবাপের প্রথম এল-ক্লাসিকো ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। সহজ সুযোগ হাতছাড়া ও অফসাইড এড়াতে না পারায় মনোবল ভেঙেছে স্বাগতিকদের। অন্যদিকে প্রথমার্ধে সুযোগ হাতছাড়া করলেও, দ্বিতীয়ার্ধ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে কাতালানরা। ওই অর্ধেই একে একে গোল করেছেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি (দুটি), লামিনে ইয়ামাল ও রাফায়েল রাফিনিয়া।

ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে বড় এই হারের পর প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিলেও হতাশা প্রকাশ করতে ভোলেননি রিয়াল কোচ আনচেলত্তি, ‘আমরা কষ্ট পাচ্ছি…খুবই কঠিন মুহূর্ত। হেরে যাওয়ার মুহূর্ত সবসময়ই কঠিন। এত ম্যাচ অপরাজেয় থাকার পর হেরে যাওয়াটা আরও কঠিন। ওরা ভালো খেলেছে। তবে মাঠে যা হয়েছে, তার প্রতিফলন পুরোপুরি পড়ছে না ফলাফলে। ওদের প্রথম গোলের আগপর্যন্ত সমান তালেই লড়াই হয়েছে। প্রথমার্ধে আমাদের খেলায় তাড়না ছিল, কিন্তু নিশানা ঠিকঠাক ছিল না। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল, কিন্তু আমরা পারিনি। পরে ওরা দুই গোল করার পর আমাদের প্রাণশক্তি ক্ষয়ে যায়। খেলাটা বদলে যায় এরপরই।’

এমবাপের সুযোগ মিস এবং ঝুঁকি না নেওয়াকেও দায় দিয়েছেন এই ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড, ‘আমরা জানতাম তারা ‘‘হাই লাইন’’ রক্ষণভাগ নিয়ে খেলবে, কিন্তু আমরা অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া করেছি বারবার। সে (এমবাপে) সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু কয়েকবার অফসাইড হয়ে গেছে। তিন-চারটি সুযোগ কাজে লাগাতে আরও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন ছিল তার নিশানা। আর সমস্যা হলো– দুই গোল হজম করার পর ঝুঁকি নিতেই হবে, এটাই স্বাভাবিক। খুব ভালো খেলতে থাকা একটি দলের সঙ্গে ঝুঁকি নিলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক। আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে অন্যরকম ব্যাপার হতো। কিছু মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমস্যা আছে, যা আমাদের সমাধান করতে হবে। সমস্যা কৌশলগত নয়।’

অন্যদিকে, টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রাখায় স্বাভাবিকভাবেই দারুণ খোশমেজাজে আছেন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। জার্মান এই কোচ তো শিষ্যদের দুদিন ছুটি ঘোষণাই করলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সঠিক ধারায় আছি। আমরা এই জয় উদযাপন করতেই পারি, আমি খেলোয়াড়দের দুদিন ছুটি দিয়েছি…উদযাপনের জন্য এটি দারুণ সময়। একইসঙ্গে ফোকাসটাও ধরে রাখতে হবে, পরের ম্যাচের প্রতি মনোযোগ হারানো চলবে না। আমরা যাত্রা শুরু করে সত্যিই ভালো করছি। এই মুহূর্তে আমি তো বলব, আমরা ছন্দে আছি। দলের মানসিকতা অসাধারণ।’

দুর্দান্ত এই জয়ে লেভান্ডফস্কি-রাফিনিয়া-ইয়ামালদের কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না বার্সা কোচ, ‘অবশ্যই রবার্ট (লেভান্ডফস্কি) গোলবারের সামনে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে, সে আমাদের দারুণ কিছু দিচ্ছে। তবে সবমিলিয়ে এটি দলগত বিষয়, তারা যেমন ভালো রক্ষণ সামলেছে, তেমনি দল হয়ে আক্রমণেও উঠেছে। ফুটবলাররা আমাদের ম্যাচের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে, যা দেখা সত্যিই দুর্দান্ত।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *