সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ানোর চেয়ে শিক্ষা অফিসার হতে বেশি মনোযোগী। দেশের বেশিরভাগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ তাদের দখলে। এবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদ দখলে মরিয়া তারা। অথচ উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চাকরি নিয়ে একই পদে অবসরে যাচ্ছেন অনেকেই। তাদের পদোন্নতি হচ্ছে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নেমেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা।
সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ানোর চেয়ে শিক্ষা অফিসার হতে বেশি মনোযোগী। দেশের বেশিরভাগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ তাদের দখলে। এবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদ দখলে মরিয়া তারা। অথচ উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চাকরি নিয়ে একই পদে অবসরে যাচ্ছেন অনেকেই। তাদের পদোন্নতি হচ্ছে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নেমেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা।
তারা বলছেন, শূন্য হওয়া জেলা শিক্ষা অফিসার পদে অধিকাংশ সময় সুযোগ পান শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে এ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকার সেটার সমাধান না করে নতুন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে মাধ্যমিক শিক্ষকদের বসানোর সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে এই বৈষম্য আমরা মানি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন ঠেকাতে এবার একাট্টা হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষকদের চার সংগঠন। তাদের দাবি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা নিয়োগ পেতে চান। এমনটা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মচারীসহ আরও ৯টি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, আমরা ৩১ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। প্রায় সব জেলা অফিসার পদে শিক্ষকরা বসে আছেন। তারা ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা হয়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের বেতনে বসে আছেন। অথচ আমাদের পদোন্নতি দেয় না।
তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মোর্চা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে পদায়ন করা চলবে না। এতে পদোন্নতিতে বৈষম্য তৈরি হবে।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবি অযৌক্তিক। তারা গায়ের জোরো পদোন্নতি নিতে চাচ্ছে যা সরাসরি বৈষম্যের শিকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব অহিদুর রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো বৈষম্য চাই না। শিক্ষা অফিসাররা যেখানে পদোন্নতি পান না সেখানে নতুন করে শিক্ষকদের শিক্ষা অফিসার বানানোর পায়ঁতারা চলছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা সারাজীবনে একটি পদোন্নতিও পাবে না।
এনএম/এমজে