বিসিবির কাছে পাওনা চেয়ে এনএসসির চিঠি

বিসিবির কাছে পাওনা চেয়ে এনএসসির চিঠি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের পাওনা চেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠি প্রদান করেছে। ২৭ অক্টোবর প্রেরিত চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে জরুরি ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েছে। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের পাওনা চেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠি প্রদান করেছে। ২৭ অক্টোবর প্রেরিত চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে জরুরি ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েছে। 

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির ওপর ১০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেট বোর্ড থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাওয়ার কথা। ২০২২-২৩ অর্থ বছর থেকে অদ্যাবধি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এই সংক্রান্ত কোনো অর্থ পায়নি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় অডিট আপত্তি হয়েছে। ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির বিসিবির পাওনা আদায়ে নির্দেশনা রয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবি’র মধ্যে এই সংক্রান্ত দেনা-পাওনা দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠির পর চিঠি প্রদানের পর বিসিবি সদয় হলে অর্থ প্রদান করে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা এনএসসিকে দিয়েছিল বিসিবি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাষ্য, টিকিট বিক্রি ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির প্রকৃত অঙ্ক না জানায় সঠিক প্রাপ্য হিসাব কষতে পারে না। মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতেই তারা প্রাপ্য দাবি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সকল ফেডারেশনের অভিভাবক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ফেডারেশনগুলোর কর্মকান্ড তদারকির এখতিয়ার এই সরকারি সংস্থার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপর বিগত সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রকৃত অর্থে তদারকি করতে পারেনি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জুন মাসেই গেট মানি ও প্রচার স্বত্ত্ব নিয়ে চিঠি দিয়েছিল। জুলাই মাসে ফিরতি চিঠিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যয় কয়েক কোটি টাকা দেখিয়ে সেখান থেকে এনএসসিকে পাওনা সমন্বয় করতে বলেছিল। সেই সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দৃশ্যপট বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর নতজানু। এখন এনএসসি চিঠি প্রেরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফিরতি চিঠি দিচ্ছে বিসিবি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। বিসিবির পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ দেখাও তার দায়িত্ব। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল বাদে সকল ফেডারেশনে দুই জন সদস্য মনোনীত করার এখতিয়ার রয়েছে। এই সদস্য মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের সেতুবন্ধনকারী হিসেবে কাজ করার কথা। বিগত সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত বিসিবি পরিচালকরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ তো দুরের কথা সম্পর্কই রাখেননি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হয়ে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

এজেড/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *