নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা পেল হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ। যা কলেজটির উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নৌবাহিনী হাতিয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মুশফিকুর রহমান এ চেক হস্তান্তর করেন। চেক গ্রহণ করেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. সারফুদ্দীন।
নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা পেল হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ। যা কলেজটির উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নৌবাহিনী হাতিয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মুশফিকুর রহমান এ চেক হস্তান্তর করেন। চেক গ্রহণ করেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. সারফুদ্দীন।
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক কি না তা দেখতে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান গত বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে কলেজটিতে হেলিকপ্টারে নামেন তিনি। তারপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো. সারফুদ্দীন অবকাঠামো উন্নয়নে নৌবাহিনীর সহায়তা কামনা করলে তাৎক্ষণিকভাবে পাশে দাঁড়ান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সারফুদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কলেজটিতে একটা শহীদ মিনার নেই। কলেজের মাঠ অনেক নিচু। তাই নৌবাহিনীর প্রধানের কাছে আবেদন করা মাত্রই তিনি ১০ লাখ টাকা উন্নয়নের জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সেই টাকা হাতে পেলাম। কলেজের মাঠ ও অবকাঠামো উন্নয়নে সাত লাখ ও শহীদ মিনার নির্মাণে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাতিয়ায় কোনো হেলিপ্যাড নেই। কলেজের মাঠে আমরা হেলিপ্যাড রাখব। আর সেটির নামকরণ করবো নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের নাম অনুসারে।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর হাতিয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মুশফিকুর রহমানসহ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (পদার্থ বিজ্ঞান) রেহানা বেগম, সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) আবুল খায়ের বিলাল, সহকারী অধ্যাপক (সমাজবিজ্ঞান) আবদুল হাদি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নৌবাহিনী প্রধান হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন, আজ তার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা কলেজটির উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা কোস্টগার্ডের জনবল বৃদ্ধি নিয়ে আবেদন করেছেন, নদী ভাঙন রক্ষায় আবেদন করেছেন। তিনি সেভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর