মিছিল নিয়ে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাটখিলের খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মিছিল নিয়ে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাটখিলের খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এইচ এম ইব্রাহীমের ব্যক্তিগত সহকারী রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে দুর্বৃত্তরা মল্লিকা দীঘির পাড়ে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে। সেখান থেকে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ও তিনটি মাইক্রোবাসে ৭০-৮০ জন যুবক সাবেক এমপির দ্বিতল বাসভবনে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় এইচ এম ইব্রাহীম বাড়িতে ছিলেন না। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই মুখোশ পরিহিত ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
রবিউল ইসলাম বলেন, পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। সকল আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। দেখে মনে হবে সিরিয়া বা আফগানিস্তান। একজন সাবেক আইন প্রণেতার বাড়িতে এমন অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা স্তব্ধ।
চাটখিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হামলাকারীরা অস্ত্রধারী ছিল। হামলাকারীরা লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে এসে এমপির বাড়িতে হামলা চালায়। আমার দল এই ধরনের হামলা সমর্থন করে না। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর তানভীর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। সেনাবাহিনী সময়মত না পৌঁছালে আগুনে আরও বেশি ক্ষতি হতো। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
হাসিব আল আমিন/আরেক