নিজ ভিটা দেখতে মাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে সাহায্য চান রূপাঞ্জনা

নিজ ভিটা দেখতে মাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে সাহায্য চান রূপাঞ্জনা

ওপার বাংলার টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুপাঞ্জনা মিত্র। যার নানু বাড়ি ঢাকার আরমানিটোলায়। এখানে প্রায় ৯০০ বিঘার ওপর জমি ছিল তাদের। কিন্তু দেশভাগের সময় ভিটে মাটি ছেড়ে ওপার বাংলায় চলে যায় অভিনেত্রীর পরিবার।

ওপার বাংলার টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুপাঞ্জনা মিত্র। যার নানু বাড়ি ঢাকার আরমানিটোলায়। এখানে প্রায় ৯০০ বিঘার ওপর জমি ছিল তাদের। কিন্তু দেশভাগের সময় ভিটে মাটি ছেড়ে ওপার বাংলায় চলে যায় অভিনেত্রীর পরিবার।

কলকাতায় চলে গেলেও এখনও বাংলাদেশের জন্য মন কাঁদে রুপাঞ্জনার মা শুক্লা রায় মিত্রের। মৃত্যুর আগে অন্তত একবার নিজ ভিটা চোখে দেখে যেতে চান তিনি।

আর মায়ের সেই ইচ্ছেপূরণে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসতে চান রুপাঞ্জনা। এজন্য সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। 

সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে রূপাঞ্জনা মিত্র বলেন,  গত কয়েক বছর ধরেই মা বাংলাদেশে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু সবসময় সেভাবে মনোযোগ দিয়ে কথা শোনা হয় না। তাই মা নিজে থেকে বাংলাদেশে ‘বঙ্গভিটা’ গ্রুপের সঙ্গে যোগযোগ করেন। মাত্র দু’দিনের মধ্যে দারুণ সাড়া পেয়েছি আমরা। যে বাড়িটার মা খোঁজ করেছিল, তার বেশ কিছু ছবি ইতোমধ্যেই হাতে এসেছে।

অভিনেত্রীর মায়ের বয়স এখন ৭৪। তিনি বাংলাদেশের ‘বঙ্গভিটা’ গ্রুপে সাহায্য চেয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেই গ্রুপের অ্যাডমিন ত্রিশ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম যে কি না স্বেচ্ছায় ভিটা ছেড়ে ওপারে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে পুরনো ভিটার স্মৃতি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেন। চেষ্টা করেন ওই সম্পত্তি খুঁজে বের করে তার ছবি দেখাতে।

রূপাঞ্জনা জানান, সাইফুল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকি ফেসবুক পোস্টে বহু স্থানীয় মানুষ সম্ভাব্য ভিটার ছবি দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলি খতিয়ে না দেখে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি। 

অভিনেত্রী দু’দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। তাই রূপাঞ্জনার কথায়, ‘খুব বেশি তাড়াহুড়া করছি না। ওই দেশের সব খবর আমরা জানি না। সব খবর আমাদের কাছেও আসে না। তাই আমি চাইব, যদি সে দেশের সরকার আমাদের সাহায্য করেন তাহলে ইচ্ছে রয়েছে মাকে নিয়ে ডিসেম্বর মাস নাগাদ বাংলাদেশ যাওয়ার। যদি তখন সম্ভব না হয়, তাহলে সব কিছু থিতিয়ে গেলে নতুন বছরেই না হয় যাব।’

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *