‘আমাদের দেশে একটাও বিশ্বমানের স্টেডিয়াম নেই। গ্যালারিতে বসলে মনে হয়, ৫০০ মিটার দূর থেকে খেলা দেখছি’ – নিজের দেশের স্টেডিয়াম নিয়ে ক্ষোভটা ঠিক এভাবেই প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মহসিন নাকভি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দেশের স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজে দেখতে গিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সুরেই এসব কথা বলেছেন নাকভি।
‘আমাদের দেশে একটাও বিশ্বমানের স্টেডিয়াম নেই। গ্যালারিতে বসলে মনে হয়, ৫০০ মিটার দূর থেকে খেলা দেখছি’ – নিজের দেশের স্টেডিয়াম নিয়ে ক্ষোভটা ঠিক এভাবেই প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মহসিন নাকভি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দেশের স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজে দেখতে গিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সুরেই এসব কথা বলেছেন নাকভি।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংস্কার কাজেই সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছেন নাকভি। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কাজে একাধিক সাবেক ক্রিকেটারকে নিয়োগ দিলেও, অবকাঠামো উন্নয়নে নজর রাখছেন নিজেই। করাচি স্টেডিয়ামে সংস্কারের জন্য বাংলাদেশের টেস্টই সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এমনই এক সময়ে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে মহসিন নাকভি হতাশা জানিয়ে বললেন, ‘আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আর আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমাদের কোনও স্টেডিয়ামই আন্তর্জাতিক মানের নয়।’
আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সঙ্গে ব্যবধান বোঝাতে নাকভি উদাহারণ দিয়েছেন, ‘‘কোনও স্টেডিয়ামে পর্যাপ্ত সিট আর বাথরুম ছিল না। মনে হতো ৫০০ মিটার দূর থেকে খেলা দেখছি। আশা করছি সংস্কারের পর আমাদের স্টেডিয়ামগুলো অন্যতম বিশ্বসেরা হবে। স্টেডিয়ামে যেসব সুবিধা থাকে এর সবই থাকবে এখানে।’’
তবে এত বিশাল সংস্কার কাজ যথাসময়ে শেষ হবে কি না তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছেই নতুন একটি হোটেল তৈরির পরিকল্পনা আছে পিসিবির। সবমিলিয়ে বেশ বড় আকারের সংস্কার কাজই চলছে সেখানে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের তিন স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করা হবে জানিয়েছেন তিনি। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি স্টেডিয়ামে বসবে ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসর।
১৯৯৬ সালের পর পাকিস্তানে ফিরছে আইসিসি ইভেন্ট। পিসিবি বেশ গুরুত্ব নিয়েই দেখছে আয়োজনের বিষয়টি। সে কারণেই হয়ত ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন রুপি খরচ করে স্টেডিয়াম সংস্কারে হাত দিয়েছে তারা। যদিও দেশটির হাতে খুব বেশি সময়ও বাকি নেই। স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ পরের ৭ মাসের মধ্যে শেষ করাও পাকিস্তানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
জেএ