দেশজুড়ে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ৷ দুপুর সোয়া দুইটার দিকে শহরের চাঁনমারি এলাকায় পুলিশ ও বর্ডার গার্ডের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
দেশজুড়ে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ৷ দুপুর সোয়া দুইটার দিকে শহরের চাঁনমারি এলাকায় পুলিশ ও বর্ডার গার্ডের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে, রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ডিসি থিক পার্কে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপরে তারা এর বিপরীত পাশে অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় তারা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
অন্যদিকে, দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সভাস্থল হিসেবে পরিচিত রাইফেলস ক্লাবে হামলা চালায়। তারা প্রতিষ্ঠানটির গেট ভেঙে ফেলে ও দরজা-জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়৷ দরজা ভাঙার চেষ্টাও করে তারা ব্যর্থ হয়।
ক্লাবের একজন নিরাপত্তারক্ষী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওরা ক্লাবের ভেতরে ঢুকে প্রথমেই আমাদের হুমকি দেয়। আমরা প্রাণভয়ে এক কোণে আশ্রয় নেই। আমাদের সামনেই ওরা ক্লাবটি তছনছ করে। এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে এলে সাধারণত এখানেই বসেন ও নেতাকর্মীদের সাথে সভা করেন।
এছাড়া, শহরের চাষাঢ়া ও ফতুল্লার পঞ্চবটিতে অবস্থিত দুইটি পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এর আগে, দিনের শুরুতে সকাল ১০টার পর থেকে আন্দোলনকারীরা নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেট ও চাষাঢ়ায় অবস্থান নেন। ফলে ওই এলাকা ও এর আশপাশের এলাকায় যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলছিল।
এ বিষয়ে জানতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমাকে কল করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি৷
শিপন সিকদার/কেএ