নবীদের যে ভাষায় প্রেরণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা

নবীদের যে ভাষায় প্রেরণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা

আদম আলাইহিস সালাম জগতে প্রথম মানুষ। আল্লাহ তায়ালা তাকেই মানুষের জন্য সর্বপ্রথম নবী মনোনীত করেন। এরপর পৃথিবীর জনসংখ্যা যতই বৃদ্ধি পেয়েছে, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিভিন্ন নবীর মাধ্যমে হেদায়াত ও পথ-প্রদর্শনের ব্যবস্থা ততই সম্প্রসারিত হয়েছে। 

আদম আলাইহিস সালাম জগতে প্রথম মানুষ। আল্লাহ তায়ালা তাকেই মানুষের জন্য সর্বপ্রথম নবী মনোনীত করেন। এরপর পৃথিবীর জনসংখ্যা যতই বৃদ্ধি পেয়েছে, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিভিন্ন নবীর মাধ্যমে হেদায়াত ও পথ-প্রদর্শনের ব্যবস্থা ততই সম্প্রসারিত হয়েছে। 

প্রত্যেক যুগ ও জাতির অবস্থার উপযোগী বিধি-বিধান ও শরীয়াত নাজিল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মানব জগতের ক্রমঃবিকাশ যখন পূর্ণতার স্তরে উপনীত হয়েছে, তখন সাইয়্যেদুল আউয়ালীন ওয়াল আখেরীন, ইমামুল আম্বিয়া মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুরো বিশ্বের জন্য রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।

তাকে যে গ্রন্থ ও শরীআত দান করা হয়েছে, তাতে তাকে সমগ্র বিশ্ব এবং কেয়ামত পর্যন্ত সর্বকালের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দেয়া হয়েছে।

হজরত মুহাম্মদ সা.-সহ যত নবী রাসূলকে আল্লাহ তায়ালা মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন তাদের সবাইকে তিনি নিজ সম্প্রদায়ের ভাষার আসমানী গ্রন্থ নাজিল করেছেন।

মানুষের সুবিধার জন্য নবীগণকে তাদের ভাষায় প্রেরণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। যেন নবীগণ তাদের সম্প্রদায়ের কাছে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেন এবং কেউ আপত্তি করে বলতে না পারে যে আপনি যে ভাষায় আমাদেরকে মহান রবের বাণী বুঝাচ্ছেন তা আমাদের মাতৃভাষা নয় এবং আমরা আপনার ভাষা বুঝছি না।

তারা যেন এ ধরনের কোনো অজুহাত দিতে না পারে এজন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাষাতেই  নবীদের ওপর বিধান নাজিল করেছেন।

কিন্তু হেদায়াত ও পথভ্রষ্টতা এরপরও মানুষের সাধ্যাধীন নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালাই স্বীয় শক্তিবলে যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্টতায় রাখেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দেন। সমগ্র জাতি যে ভাষা বোঝে নবী সে ভাষায় তার সমগ্র প্রচার কার্য পরিচালনা ও উপদেশ দান করা সত্বেও সবাই হেদায়াত লাভ করে না। 

কারণ কোন বাণী কেবলমাত্র সহজবোধ্য হলেই যে, সকল শ্ৰোতা তা মেনে নেবে এমন কোন কথা নেই। সঠিক পথের সন্ধান লাভ ও পথভ্রষ্ট হওয়ার মূল সূত্র রয়েছে আল্লাহর হাতে। তিনি যাকে চান নিজের বাণীর সাহায্যে সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং যার জন্য চান না সে হিদায়াত পায় না। 

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا بِلِسَانِ قَوۡمِهٖ لِیُبَیِّنَ لَهُمۡ ؕ فَیُضِلُّ اللّٰهُ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَكِیۡمُ ﴿۴

আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার জাতির ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে স্পষ্টভাবে (আমার নির্দেশগুলো) বর্ণনা করতে পারে, সুতরাং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ০৪)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *