ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল আরো একবার বোর্ড সভায় বসেছিল বিসিবি। সেখানেই ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি রোধে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং বিপিএলের যে ম্যাচগুলো আয়োজন করবে বিসিবি, সেসব ম্যাচের টিকিটের একটা অংশ অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল আরো একবার বোর্ড সভায় বসেছিল বিসিবি। সেখানেই ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি রোধে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং বিপিএলের যে ম্যাচগুলো আয়োজন করবে বিসিবি, সেসব ম্যাচের টিকিটের একটা অংশ অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই শুরু হবে অনলাইনে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। গতকাল গণমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের যে খেলাগুলো হয়, কাগজের টিকিটে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমরা টিকিটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিপিএল সবকিছুতে এটা বোর্ডের রাজস্ব আয়ের ভালো উৎস হতে পারে বলে মনে করছেন পরিচালকরা।’
‘এর আগে খুব কম পরিমাণে, ছোট একটা অংশ ছিল অনলাইনে। এটাকে আমরা ৭০-৮০ শতাংশই ডিজিটালাইজড করব, যতটা আমাদের জন্য উপযুক্ত হয়। প্রত্যেকটা টিকিটের হিসাব তাতে আমাদের কাছে থাকবে।’-যোগ করেন তিনি।
টিকিট কালোবাজারি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘আমাদের কিছু টিকিট সৌজন্যমূলক দিতে হয়, কিছু এজেন্সি আছে, যারা কাজ করে। তাদের কিছু দাবি থাকে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশ, যারা যারা থাকেন, তাদের কথা বিবেচনায় রেখেছি। সৌজন্যমূলক সেই টিকিটগুলো যেন আমরা সনাক্ত করতে পারি। টিকেটে কিউআর কোড থাকবে। কোনটা সৌজন্যমূলক, কোনটা রাজস্ব টিকিট, সেটা যেন বুঝতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমরা করতে যাচ্ছি।’
‘সামনে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে। পাইলট প্রজেক্ট হবে এই সিরিজ। বেশি টিকিট করতে হবে না, টেস্ট ম্যাচে দর্শক বেশি হয় না। ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, এসব নিয়ে আলোচনা হবে। সিরিজ যেহেতু খুব কাছে, আমরা দেখব। সিস্টেমটা যারা তৈরি করছে, তারা যদি দিতে পারে, তাহলে চেষ্টা করব আমরা।’
এসএইচ/এইচজেএস