জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে দুই মামলা

জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে দুই মামলা

জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে লাশ গুম ও মানহানির পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়।

জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে লাশ গুম ও মানহানির পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়।

মানহানির মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানসিয়ানা নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ ধরনের মন্তব্য করায় ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায়  উল্লেখ করা হয়। মানহানি মামলাটির বাদী বিএনপির কর্মী রুমেল সরকার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দী চেচিয়াবাঁধা এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। এছাড়াও এই মামলায় মহিউদ্দিন হেলাল নামে ওই ইউটিউবের উপস্থাপকে আসামি করা হয়েছে। উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মাসুদ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে খুন করে লাশগুম করার অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা মাসুদের বড় ভাই পোগলদিঘা ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী এই মামলা করেন। বাদী মাজহারুল ইসলাম একই উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে জামালপুর-৪ আসনের তৎকালীন  সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা মাসুদ ও আইয়ুব আলীকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে চেচিয়াবাঁধা এলাকায় যমুনা নদীর শাখা নদীতে হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদকে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে মাসুদকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মামলায় ডা. মুরাদ হাসানসহ ৯ জনের নামে ও নাম পরিচয়হীন ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে নান্নু মিয়া (৪২), মুসলিম উদ্দিনের ছেলে আলী কাইঞ্চা (৪২), জয়ান মন্ডলের ছেলে লিমন (৩৫), মৃত হবিবর মন্ডলের ছেলে খোকন (৪০), রব্বানী (৩৬), জমির উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন  টুটুল (৩২), আবুল কাশেমের ছেলে রাজু (৩৫) ও আব্দুল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী  (৪৫)।

মামলা দুটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।

আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *