জবিতে নির্দলীয় ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর

জবিতে নির্দলীয় ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নির্দলীয় উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছেন। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নির্দলীয় উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছেন। 

বুধবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। এখনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপক ভিসি হিসেবে নিয়োগ পায়নি। আমরা আমাদের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই উপাচার্য চাই। আমাদের দাবি একটি অরাজনৈতিক ও ন্যায়সংগত দাবি।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব বলেন, আমি একবার একটা আবেদনপত্র অফিসে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আবেদনের কোনো ফলাফল পাইনি। কারণ ভিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হয়নি। আমাদের একটাই দাবি, সব ধরনের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এবং দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। আমরা জীবন দিতে শিখে গেছি। আমরা রক্ত দিতে শিখে গেছি। প্রয়োজনে রক্ত আরো দেব।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা দাঁড়িয়েছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে। জগন্নাথের হল ও মাঠ ভাড়াটে ভিসির কারণে হারিয়েছিলাম। আমরা বৈষম্যের শিকার হলে কোনোভাবেই মেনে নেব না। জগন্নাথ ছাত্ররা সব বৈষম্য রুখে দেবে।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, আমাদের ১৫৬ জন প্রফেসর আছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের ভিসি আমাদের মধ্যে থেকে হবে। কিন্তু আমাদের এমন ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়, যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু জানে না। 

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু লাইক বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে আমাদের শিক্ষকরা যেতে না চাইলেও ভাড়াটে ভিসির কারণে যেতে হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা জগন্নাথ থেকে ভিসি পেলে আশা করি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যেতে পারব। আশা করি আমাদের বহুদিনের দাবি পূরণ হবে।

এমএল/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *