ডাক্তারবাবুকে আর বিয়ে করছি না : ঋতাভরী 

ডাক্তারবাবুকে আর বিয়ে করছি না : ঋতাভরী 

টলিপাড়ার ক্রাশ হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এরই মধ্যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গাটাও পোক্ত করেছেন তিনি। আসছে পূজায় মুক্তি পাচ্ছে বহুরূপী ছবি। যেখানে আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেধেছেন এই অভিনেত্রী। 

টলিপাড়ার ক্রাশ হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এরই মধ্যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গাটাও পোক্ত করেছেন তিনি। আসছে পূজায় মুক্তি পাচ্ছে বহুরূপী ছবি। যেখানে আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেধেছেন এই অভিনেত্রী। 

বিতে আবীর ও ঋতাভরীর বেশ কিছু রোম্যান্টিক দৃশ্যও রয়েছে। কিন্তু পর্দায় চুটিয়ে প্রেম করলেও ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমের সম্পর্কে নেই ঋতাভরী।

এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী জানিয়েছেন, তিনি মনোবিদ তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর সম্পর্কে নেই। অভিনেত্রী আরও জানান, ডাক্তারবাবুকে আর বিয়ে করছেন না তিনি। তার জীবনে নতুন প্রেম এসেছে। 

তবে এখনই সেই প্রেম বা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চান না ঋতাভরী। অভিনেত্রী এটাও জানিয়েছেন, তিনি ও তথাগত ভাল বন্ধু। তার শরীর খারাপ হলে এখনও ডাক্তারবাবু খোঁজ নেন। 

ঋতাভরী বলেন, ‘সেই ডাক্তারবাবুর (তথাগত) সঙ্গে বিয়েটা করছি না। একটা প্রেম আছে জীবনে। তবে এই মুহূর্তে সেটা নিয়ে কথা বলার মতো জায়গায় পৌঁছাইনি। সময় হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন। প্রেমের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। প্রেমের ক্ষেত্রে আমি ওই সারমেয়র মতো, যে লাথি খেয়েও আবার পেছন পেছন হাঁটে। মজা করছি! প্রেম ভেঙে গেলেও বন্ধুত্ব থাকে। তথাগতের সঙ্গে আমার এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে। অসুস্থ হলে কিন্তু ও এখনো আমার খোঁজ নেয়।’

অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অভিনেতাদের কি বিয়ে করা উচিত? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তথাগতর সঙ্গে প্রেম ভাঙার কারণ খানিকটা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কী করে বলি! শাহরুখ খান আছেন। কিন্তু তিনি তো একটাই। তবে ক্যারিয়ার ত্যাগ করে কখনো বিয়ে করা উচিত নয়। আমি তো দেখেছি, যার জন্য মানুষ কাজ ছেড়ে দিল, তাকেই শেষে ভুলে গেল। এই রূপ-যৌবন কত দিন থাকে! এজন্যই আমি এখনো বিয়ে করিনি। ভুল মানুষকে বিয়ে করতে চাই না।’

কিছুদিন আগে ঋতাভরীর বড় বোন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী বিয়ে করেছেন। তার উদাহরণ টেনে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘তবে আমার দিদি ও সম্বিতের বিয়েটা দারুণ। ওরা পরস্পরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তখন মনে হয়, বিয়েটা সুন্দর। ঠিক সময় সংসার করতে চাই ঠিকই। কিন্তু মেয়েদের জন্য কোনটা ঠিক সময়, জানি না। বিয়ের বয়সটা কী, তা-ও জানি না।’

প্রসঙ্গত, ঋতাভরী যখন খুব ছোট তখনই দেখেছিলেন তার মা-বাবার মধ্যে সমস্যা। এমনকী নিজের মা-কে শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়তেও দেখেছেন তিনি। একাই শতরূপা বড় করেছেন দুই মেয়েকে। বাবার সঙ্গে শেষ দিন অবদিও বিশেষ সম্পর্ক ছিল না অভিনেত্রীর। তাই হয়তো, নিজের প্রেম থেকে বিয়ে, সবটাই বিশেষ ভেবেচিন্তে করতে চান।   

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *