ছাত্র-জনতা হত্যায় শেখ হাসিনা-জড়িতদের বিচারে কমিশন গঠনের প্রস্তাব

গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করায় শেখ হাসিনা ও এর সাথে জড়িতদের বিচারে কমিশন গঠনের প্রস্তাব জানিয়েছেন বক্তারা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) শাহবাগ মোড়ে ‘একতার বাংলাদেশ’ নামক একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে সম্প্রতি সমাবেশে ছাত্র সংগঠক আলী আহসান জোনায়েদ কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্যান্য বক্তারা এতে একাত্মতা পোষণ করেন। 

সমাবেশে সম্প্রতির বাংলাদেশ গড়তে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বক্তব্য প্রদান করেন।

ছাত্র সংগঠক আলী আহসান জোনায়েদ বলেন, আমরা মরতে যখন শিখে গেছি, কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি আমাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবা না। আমার ভাই-বোনেরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, শহীদরা কবরে শুয়ে আছে। বাংলাদেশে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠন করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার করতে হবে। 

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান কর্তব্য এখন সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা, আহত ভাই-বোনদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শহীদ আবু সাঈদের অনুপ্রেরণা থেকে বলতে চাই, আমাদের মানচিত্রে বহিশত্রুর থাবা রুখে দেবো। প্রয়োজনে আমরা বুলেটের সামনে আমাদের বুক পেতে দিতে প্রস্তুত আছি।

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, খুনি হাসিনা ভারতে পালালেও তার দোসর দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে মরিয়া হয়ে আছে। বাংলাদেশব্যাপী আমরা পাহারা বসিয়েছি। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের আদর্শই হলো জাতি ধর্ম বর্ণকে সকলকে ধারণ করা। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কেউ সংখ্যালঘু নয়। আমরা সবাই বাংলাদেশি।

সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি সীবগাতুল্লাহ বলেন, এই বাংলাদেশ সম্প্রতির বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ একতার বাংলাদেশ। কোন দল, সংগঠন বা ছাত্র এটা বলতে পারবে না যে আমি একাই এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে দেশের সাধারণ মানুষ, প্রাইভেট পাবলিক, ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়েছে। আমাদের ভাই আবু সাঈদ বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন। আমরা আবু সাঈদ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বলতে চাই, আগামীতে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয় তাহলে আমরা জীবন দিয়ে সে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো। 

জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, শাহবাগকে ব্যবহার করে খুনি হাসিনা এদেশের আলেম সমাজকে জুডিশিয়াল কিলিং চালিয়েছে। এই শাহবাগ থেকেই তোমার পতন ঘণ্টা বেজেছে। যারা এদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙতে যায়, তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।

কেএইচ/পিএইচ