হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তাদের দুজনকে। আজ শনিবার তাদের রিমান্ডের তৃতীয় দিন।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তাদের দুজনকে। আজ শনিবার তাদের রিমান্ডের তৃতীয় দিন।
সেখানে তারা ঘুমিয়ে আর নামাজ পড়ে সময় পার করছেন। আর ডিবি অফিসে যে খাবার রয়েছে সেগুলোই খাচ্ছেন এই দুই নেতা। তবে সালমান এফ রহমান পছন্দ করেন চিকেন। আর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পছন্দ করেন মাছ। ডিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মুরগি ও ডিম দিয়ে খেয়েছেন সালমান এফ রহমান। আর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ডিম ও শিং মাছের ঝোল দিয়ে খেয়েছেন। এছাড়া ডিবির হাজতখানার ফ্লোরে ঘুমাচ্ছেন দুজন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা মহাব্যস্ত সময় কাটালেও এখন কীভাবে তাদের সময় কাটছে, জানতে চাইলে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা বসে থাকেন, ঘুমান, খান এবং নামাজ পড়ে সময় কাটান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন টিটি কলেজের বিপরীত পাশে কাদের আর্কেড মার্কেটের সামনে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন ওই এলাকার একটি পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলী। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ডিএমপির নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নৌ-পথে পালানোর সময় গত মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা বর্তমানে ডিবি হেফাজতে আছেন। তবে হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
একই মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা মামলাটি এখনো আমরা তদন্ত করছি। থানা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আসামিদের ডিবিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এমএসআই/এমএসএ