চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) কর্মচারীরা। বিক্ষোভকারীরা বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে চাকরি করছেন।
বুধবার সকাল থেকে তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুর্মিটোলার বলাকা ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। সর্বশেষ বিকেল পর্যন্ত চলছিল এ বিক্ষোভ।
বিএফসিসি বিমানের ক্যাটারিং সেন্টার। বিমানের যাত্রীদের খাবার এখানেই তৈরি হয়। এছাড়াও ঢাকায় আগত সৌদিয়া এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের খাবারও বিএফসিসি সরবরাহ করে।
বুধবারের আন্দোলনে তাদের দুই শতাধিক কর্মী যোগ দিয়েছেন।
দাবির বিষয়ে আশিকুর রহমান নামে একজন বিএফসিসি কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএফসিসিতে প্রায় ৫০০-৬০০ জন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক আছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। সারাদেশে যখন যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন আমরাও দাবি আদায়ে আমার প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক ভবনে বিক্ষোভ করতে এসেছি। আমরা বর্তমানে দুটি দাবিতে বিক্ষোভ করছি। চাকরির স্থায়ীকরণ ও অন্যান্য কর্মীদের মতো সরকারি পেনশন পাওয়া।
জাহিদ আহসান নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, বিএফসিসি একটি স্বনামধন্য ইউনিট। আমাদের পরিশ্রমেই সবাই বিএসসিসির প্রশংসা করে। কিন্তু আমরা নিজেরাই এখন অস্তিত্ব-সংকটে ভুগছি। আমরা বছরের পর বছর একই কাজ করে যাচ্ছি, আমাদের কাজ স্থায়ী, তাহলে চাকরি কেন স্থায়ী হবে না? আমরা অবিলম্বে চাকরি স্থায়ীকরণ চাই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ৫০০-৬০০ জনের মতো বিএফসিসি কর্মীর চাকরি চুক্তিভিত্তিক আছেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
আন্দোলনের বিষয়ে বিমান জানায়, বিএফসিসির যেসব কর্মীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা গ্র্যাচুইটি পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। তবে বর্তমানে চাকরি স্থায়ী করণের দাবির সঙ্গে তারা পেনশনের দাবি করেছেন। বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এআর/এসকেডি