চাঁদপুরে ২২০টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে।
চাঁদপুরে ২২০টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষ্যে প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, চাঁদপুর জেলা সদরসহ ৮টি উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী ২২০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরিসহ সাজ-সজ্জার কাজ চলমান রয়েছে। মণ্ডপগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। সিসি টিভি ক্যামেরা প্রতিটি মণ্ডপে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনে যাচাই-বাছাই করে করতে হবে। প্রত্যকের মোবাইল নম্বর, ছবিসহ যাবতীয় তথ্য থাকতে হবে। যাকেই স্বেচ্ছাসেবক দেবেন সে যেন আসলেই স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করতে পারবে তাদেরই দিতে হবে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, সেনাবাহিনীর ২১ বীর এর মেজর আরিফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সাহাদাৎ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্ল্যাহ সেলিম, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, পূজাতে চাঁদপুরে অতীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, ঘটবেও না। তবে ঘটবে না বলে বসে থাকা যাবে না। প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হবে। নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্মিলিতভাবে পূজা উদযাপন করবো।
তিনি আরও বলেন, বির্সজনের ক্ষেত্রে আমরা চাই দিনের আলোতে শেষ করতে। সন্ধ্যা ৬টার আগে প্রতিটি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন স্পটে পৌঁছে যাবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়ানো প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, গুজব যেন কেউ না ছড়ায়। যে গুজব ছড়াবে তার দায় তাকেই নিতে হবে। গুজব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দিনে লোডশেডিং থাকলে সন্ধ্যার পর যেন বিদ্যুৎ থাকে সে ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপের বিকল্প পাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি কোনো পূজা মণ্ডপে মাদক সেবন হয় না। কেউ যদি নিজ ব্যক্তি উদ্যোগে মাদক সেবন করে, সেই দায় সব পূজা মণ্ডপকে দেওয়া ঠিক না। এবার একটা ভালো সংবাদ হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনীও টহল জোরদার করবেন।
আনোয়ারুল হক/এসএম