আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ফল সেমিস্টার ২০২৪-এর নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ফল সেমিস্টার ২০২৪-এর নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, টেক্সটাইল বিভাগের ডিসটিংগুইসড প্রফেসর ও চেয়ারপার্সন ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আজিজ ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নবীনবরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের যাত্রা শুধু ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি তোমাদের এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে চায়, যেখানে তোমরা দায়িত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তোমরা বড় স্বপ্ন দেখো, প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাও এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে এগিয়ে চলো।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানান। তিনি বলেন, এটা সেই বাংলাদেশ, যা শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে। কিন্তু যদি জ্ঞান না থাকে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি না হয়; তবে শিক্ষার্থীদের এই নেতৃত্ব মুখ থুবড়ে পড়বে। এজন্যই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। মানুষের পুরো জীবনটাই মেডিটেশন হওয়া উচিত। তাই শুধু রুটিন ওয়ার্ক করলে চলবে না, এর বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই চার বছর পর পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া সম্ভব হবে।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী জ্ঞান-দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেই সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন গুণাবলি অর্জন করার তাগিদ দেন।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ বলেন, কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, ব্যর্থতাই সফলতার খুঁটি। মানবজীবনে পরিশ্রম-সংগ্রামই সব। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এরপরই সফলতা ধরা দেবে।
ডিসটিংগুইস্ড প্রফেসর ও টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর বলেন, পড়াশোনা অবশ্যই জরুরি। তবে এর পাশাপাশি সামাজিক কার্যাবলীর জন্য বিশেষ করে ক্লাবগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। তোমরা আমাদের দূত। যেখানেই যাবে, তোমাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার যেন বলে দেয়, তোমরা গ্রিনের শিক্ষার্থী।
আলোচনা সভা শেষে নবীন শিক্ষার্থী ও উপস্থিত সবার উপস্থিতিতে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। পরে স্ব স্ব বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কেএ