গোপালগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
গোপালগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
গতকাল বুধবার (০২ অক্টোবর) কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি এক লাফে কেজিতে ২০০ থেকে ২২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪২০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০০ টাকা দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতা আমজাদ হোসাইন বলেন, গতকাল কাঁচা মরিচ কিনেছি ২০০ টাকা কেজি। আর সেই কাঁচা মরিচ শুনি ৪০০ টাকা কেজি। দেশ কীভাবে চলবে? এইতো আমাদের দেশ। এরকম হলে কীভাবে কিনবো আমরা?
ক্রেতা হারুন শেখ বলেন, এক পোয়া মরিচ ১০০ টাকা চাচ্ছে, এক কেজি বেগুন ১৬০ টাকা। যাই ধরি দামে আগুন। কিছু কেনার উপায় নাই। আমাদের সরকার সব কিছুর দাম কমিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দিন দিন শুধু সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ বড় বাজারের ব্যবসায়ী হালিম বলেন, ইন্ডিয়ান কাঁচা মরিচ রপ্তানির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। ইন্ডিয়ান মরিচ যদি এলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ইন্ডিয়া থেকে না এলেই দাম বৃদ্ধি পায়। আজ ইন্ডিয়ান মরিচ আসেনি। বর্ডার বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা পাইকারিতে বেশি দামে কিনেছি।
গোপালগঞ্জ বড় বাজারের ব্যবসায়ী হারুন বলেন, কাঁচা মরিচ গতকাল ২০০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ কেজি ৪০০ টাকা। কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে। ভারত বর্ডার বন্ধ থাকায় মরিচ আসেনি। এ জন্য দাম বেড়েছে।
মাহমুদুল হাসান রাজন/এফআরএস