খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কাউন্সিলরদের স্থলে নাগরিকদের সেবা দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নাগরিত্ব, উত্তরাধিকার, চারিত্রিক, জন্ম ও মৃত্যুসনদ, প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখবেন তারা।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কাউন্সিলরদের স্থলে নাগরিকদের সেবা দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নাগরিত্ব, উত্তরাধিকার, চারিত্রিক, জন্ম ও মৃত্যুসনদ, প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখবেন তারা।
বুধবার (২ অক্টোবর) কেসিসির পৃথক দুটি অফিস আদেশে ৩১ জন কর্মকর্তাকে এসব দায়িত্ব দেওয়া হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপসারণ করেছে। কাউন্সিলররা না থাকায় ওয়ার্ডবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, চারিত্রিক সনদ প্রদানসহ সব ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়ার্ডগুলোতে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা কাউন্সিলরদের সব কাজই করতে পারবেন। গতকাল বুধবার সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের নির্দেশনায় ওই অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সালেহ পাটোয়ারি, ২নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুন নাহার বেলা, ৩নং ওয়ার্ডে কঞ্জারভেন্সি অফিসার অহিদুজ্জামান খান, ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মাসুদ করিম, ৫নং ওয়ার্ডে কেসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, ৬নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডে বাজেট কাম অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, ৮নং ওয়ার্ডে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, ৯নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী এফ এম ফয়সাল, ১০নং ওয়ার্ডে সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোস্তাফিজুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ডে ড্রাফটম্যান আসমাউল হুসনা, ১২নং ওয়ার্ডে সহ-সুপারভাইজিং ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান, ১৩নং ওয়ার্ডে এস্টিমেটর কাজল রানী দাস, ১৪নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, ১৫নং ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মাজেদ মোল্লা, ১৬নং ওয়ার্ডে প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল জব্বার, ১৭নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, ১৮নং ওয়ার্ডে স্থপতি রেজবিনা খানম, ১৯নং ওয়ার্ডে আই টি ম্যানেজার শেখ হাসান হাসিবুল হক, ২০নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিমুল আজাদ, ২১নং ওয়ার্ডে অডিট অফিসার ইমরান হোসেন, ২২নং ওয়ার্ডে কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, ২৩নং ওয়ার্ডে ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, ২৪নং ওয়ার্ডে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, ২৫নং ওয়ার্ডে রাজস্ব কর্মকর্তা এস কে তাছাদুজ্জামান, ২৬নং ওয়ার্ডে সহকারী কনজারভেন্সি অফিসার আবদুর রকিব, ২৭নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিত কান্তি ঘোষ, ২৮নং ওয়ার্ডে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এস এম এ ওয়াদুদ, ২৯ নং ওয়ার্ডে চিফ অ্যাসেসর শেখ হাফিজুর রহমান, ৩০নং ওয়ার্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ ও ৩১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনি জামিল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের অন্য ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মতো কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে গত ৫ দিন কাউন্সিলর ছাড়াই চলছে কেসিসি। এতে থমকে গেছে অনেক ধরনের সেবা কার্যক্রম। সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হলো।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর