বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। পরে শাহবাগের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। গণজাগরণ মঞ্চের ন্যায় শাহবাগে অবস্থান করে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। পরে শাহবাগের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। গণজাগরণ মঞ্চের ন্যায় শাহবাগে অবস্থান করে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে শাহবাগ থেকে মাইকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেই মঞ্চ ঘিরে চারদিকে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ঢাকা ক্লাব, টিএসসি, জাতীয় জাদুঘর, কাঁটাবন, বিএসএমএমইউ এর সামনের অংশে অবস্থান নিয়ে পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো এক সাথে শেখ হাসিনার গতিতে / আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই / দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত / রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায় / সাঈদ ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে / এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
এদিকে টিএসসি, বাংলামটর, কাঁটাবন থেকে একের পর এক মিছিল এসে মিশছে শাহবাগে। এই মুহূর্তে শাহবাগ জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।
এরআগে এদিন বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের সূত্রপাতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আন্দোলকারীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতরে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
শাহবাগ থানার সামনে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জেইউ/এমএসএ