খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী

খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। আগে যেখানে নানা অজুহাতে প্রতি ঘণ্টায় পণ্যের দাম ওঠানামা করতো, সেখানে এখন সব পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। নতুন করে দাম বাড়েনি কোনো পণ্যের। তবে বেচাকেনা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। আগে যেখানে নানা অজুহাতে প্রতি ঘণ্টায় পণ্যের দাম ওঠানামা করতো, সেখানে এখন সব পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। নতুন করে দাম বাড়েনি কোনো পণ্যের। তবে বেচাকেনা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, নিত্যপণ্য বিভিন্ন স্থান থেকে খাতুনগঞ্জের বাজারে আসতে বেশ কয়েকবার চাঁদা দিতে হতো। এসব চাঁদা নিতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এখন কেউ না থাকায় হচ্ছে না চাঁদাবাজি। গা-ঢাকা দিয়েছে চাঁদা আদায়ে জড়িতরা। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯৩-৯৫ টাকা। মিশরের পেঁয়াজ ৭৩-৭৫ টাকা, হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৩৫-২৫২ টাকা, মরিচ ২৯০-৩২০ টাকা, মসুর ডাল (মোটা দানা) ১০০ ও ছোট দানা ১২৩ টাকা, রসুন ১৬৮ টাকা, আদা মানভেদে ২০০-২০৮ টাকা ও আলু ৪৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে পাইকারিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

তবে ভোক্তা পর্যায়ে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমলেও অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকার পতনের পর কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। উল্টো কমেছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। ডিও বাণিজ্য বন্ধ হলে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে।’

বেচাকেনা কম জানিয়ে তিনি বলেন, বাজার ঠান্ডা। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা লেনদেনে সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, ‘বর্তমানে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৯৩-৯৫ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন ১৭৫ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, আদা ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম আগের সপ্তাহে ১০ টাকা করে বেশি ছিল।’

এদিকে, বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকসবজি, আলু, ডিম, মুরগি, মাছ ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে চাল-ডাল ও তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, ঝিঙা, বেগুন, পটল, পেঁপে, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ও করলা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও এসব সবজির দাম ছিল ৮০-১০০ টাকা।

ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকার পতনের আগের দিন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। যা এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনও ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আন্দোলনের সময় দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা এখন ১০৫ টাকায় নেমেছে। একইভাবে আলুর দাম আবারও ৮০ টাকায় উঠেছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় নতুন করে যোগ হয়েছে টানা বৃষ্টি। যার কারণে ব্যবসা হচ্ছে না। গত একমাস ধরে পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম কমেছে। ছোলা, মটর, মসুর ডাল ও চনার ডাল স্থিতিশীল রয়েছে।’

আরএমএন/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *