বাংলাদেশ দল সাধারণত দেশের মাটিতে স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলে থাকে। তবে দেশের বাইরে বরাবরই বেশিরভাগ সময় টাইগারদের সামলাতে হয় পেসবান্ধব উইকেট। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পেস সহায়ক উইকেট দেখে অবাক হননি।
বাংলাদেশ দল সাধারণত দেশের মাটিতে স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলে থাকে। তবে দেশের বাইরে বরাবরই বেশিরভাগ সময় টাইগারদের সামলাতে হয় পেসবান্ধব উইকেট। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পেস সহায়ক উইকেট দেখে অবাক হননি।
আজ বুধবার কানপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন হাথুরু। সেখানে উইকেট প্রসঙ্গে টাইগারদের প্রধান কোচ বলেন, ‘পেস বান্ধব উইকেট দেখে আমি অবাক হইনি, কারণ জানি তারা কেন এমন করছে। আমরাও আমাদের দেশে খেলা হলে প্রতিপক্ষ অনুযায়ী স্পিন কন্ডিশন সাজাই। প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজেদের শক্তি, প্রতিপক্ষের দুর্বলতা এসবের ওপর নির্ভর করে উইকেট তৈরি করা হয়। উপমহাদেশ বলে শুধু স্পিন নয়, চাইলে পেস নির্ভর উইকেটও তৈরি করা যায়।’
চেন্নাইয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট কানপুরের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে এখনও রয়েছে সংশয়। তবে টাইগারদের প্রথম চার ব্যাটার বাঁহাতি হওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন। এ নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘পিচ একটু দেখেছি। মাঠকর্মীরা দুটি পিচ তৈরি করছে। কোনটা বেছে নেওয়া হবে জানি না। কাল এসে হয়ত দেখতে হবে। আমাদের মনে হয় এটাই আমাদের সেরা কম্বিনেশন, হোক ডানহাতি বা বাঁহাতি। একাদশে পরিবর্তন নির্ভর করছে কাল উইকেট দেখার ওপর।’
এদিকে, বাংলাদেশ দল নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ জানাতে গিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ভালো শুরুর পর ওরা আউট হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত। তারা ভালো করতে মুখিয়ে আছে। গত ম্যাচে আমরা আমাদের মেধা ও সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি।’
হাথুরুসিংহের ভাষ্য, ‘ভালো শুরু পেলে ইনিংস বড় করতে হবে। তা হচ্ছে না, এটাই দুশ্চিন্তার বিষয়। টেস্ট ক্রিকেটে কেউ ৩০ বল খেলে ফেললে উইকেটে থিতু হওয়া জরুরি। কীভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে ভারতের এই দল তা ভালো করেই জানে। তাই আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে ভালো ব্যাট করে যেতে হবে।’
এসএইচ/এফআই